জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের আট মাসের অর্জন তুলে ধরেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, ইসরায়েল-হামাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের আট মাসে দেশের অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে বলে জানান। তিনি জাতিসংঘের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন যে সংস্থাটি তার সম্ভাবনার কাছাকাছিও আসছে না। জলবায়ু পরিবর্তনকে তিনি "বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতারণা" বলে অভিহিত করেন এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর নীতিগুলি প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের বিষয়ে, ট্রাম্প অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তির দাবি করেন এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করেন, কারণ এটি হামাসকে পুরস্কৃত করবে বলে তিনি মনে করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ক্ষেত্রে, তিনি শান্তি আলোচনায় না বসলে রাশিয়ার উপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি ইউরোপীয় দেশগুলির অভিবাসন নীতিগুলিরও সমালোচনা করেন, বলেন যে তাদের দেশগুলি "ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে"।
ট্রাম্পের ভাষণে, তিনি তাঁর প্রশাসনের সাত মাসে সাতটি "অসম্ভব" যুদ্ধ শেষ করার দাবি করেন, কিন্তু বলেন যে জাতিসংঘ এক্ষেত্রে তেমন সাহায্য করেনি। তিনি বলেন যে, "সবুজ শক্তি" এবং অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন "মুক্ত বিশ্বের একটি বড় অংশকে ধ্বংস করছে"। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এই অধিবেশনটি ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ শুরু হয়েছিল এবং ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে সাধারণ বিতর্ক শুরু হয়। এই অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা শান্তি, নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য সমাধান অন্বেষণ করেন। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের ভাষণটি বিশ্বব্যাপী নীতি, অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গভীর বিভেদ তুলে ধরেছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার মাধ্যমে একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ার উপর জোর দেন।