ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রুর সরকারের ওপর আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছে। সোমবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এই ভোটে ৩৬৪ জন আইনপ্রণেতা সরকারের বিপক্ষে এবং ১৯৪ জন পক্ষে ভোট দেন, যার ফলে বায়রুর পদত্যাগ অনিবার্য হয়ে পড়ে।
গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর মিশেল বার্নিয়ারকে প্রতিস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী হওয়া বায়রু, তাঁর সরকারের প্রস্তাবিত ৪৪ বিলিয়ন ইউরোর ঘাটতি-হ্রাস পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাপক বিরোধিতার সম্মুখীন হন। এই পরিকল্পনায় সরকারি ছুটি বাতিল এবং পেনশনভোগীদের উপর কর আরোপের মতো কঠোর আর্থিক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়। ন্যাশনাল র্যালি, সোশ্যালিস্ট পার্টি, গ্রিনস এবং লা ফ্রান্স ইনসুমিস সহ প্রধান বিরোধী দলগুলো সরকারের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যা শেষ পর্যন্ত সরকারের পতন ডেকে আনে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই রাজনৈতিক অস্থিরতা ফ্রান্সের আর্থিক নীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। ফিনান্স মন্ত্রী এরিক লোম্বার্ড স্বীকার করেছেন যে ঘাটতি-হ্রাস পরিকল্পনাটি কম উচ্চাভিলাষী হতে পারে এবং একটি নতুন প্রশাসন বামপন্থী দলগুলির সাথে আলোচনার প্রয়োজন তৈরি করতে পারে, যা আর্থিক একত্রীকরণের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
এই পদত্যাগ ফ্রান্সে একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক মোড় নির্দেশ করে। রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এখন তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপগুলি বিবেচনা করছেন। এই পরিস্থিতি ব্যবসা এবং ভোক্তাদের জন্য একটি অনিশ্চিত পরিবেশ তৈরি করেছে, কারণ নতুন সরকারের নীতিগুলি দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। আগামী দিনে, ফ্রান্সকে তার বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।