২০২৫ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, হাউস ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা একটি চিঠি প্রকাশ করে যা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জেফরি এপস্টাইনের জন্য ২০০৩ সালে লিখেছিলেন বলে অভিযোগ। এই চিঠিটি এপস্টাইনের ৫০তম জন্মদিনের অ্যালবামে পাওয়া যায় এবং এতে একটি স্কেচ ও গোপন তথ্যের ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা রয়েছে, যা ট্রাম্পের স্বাক্ষরযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, ট্রাম্প এই চিঠি লেখার বিষয়টি তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন এবং এটিকে একটি বানোয়াট বলে অভিহিত করেছেন। এই ঘটনায় তিনি দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ১০ বিলিয়ন ডলারের মামলা দায়ের করেছেন।
এই প্রকাশনা ট্রাম্পের এপস্টাইনের সাথে অতীতের সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত আরও জোরদার করেছে। ট্রাম্পের দাবি, এপস্টাইন তার ম্যার-আ-লাগো রিসোর্ট থেকে অল্পবয়সী মেয়েদের নিয়োগ করার পরেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। আইনপ্রণেতারা, যেমন প্রতিনিধি থমাস ম্যাসি, উল্লেখ করেছেন যে এই চিঠিটি এপস্টাইনের শিকারদের ন্যায়বিচার প্রদানে সরাসরি প্রাসঙ্গিকতা সীমিত। বিচার বিভাগ এপস্টাইনের যৌন পাচার মামলার সাথে সম্পর্কিত নথি প্রকাশ করা শুরু করেছে, যা বৃহত্তর স্বচ্ছতার জন্য দ্বিদলীয় চাপের ফলস্বরূপ।
এই বিতর্ক রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে, যেখানে হোয়াইট হাউস এবং ট্রাম্পের দল চিঠির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, স্বাক্ষর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এবং এটিকে মানহানিকর বলে আখ্যা দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন যে ট্রাম্প এই ছবিটি আঁকেননি বা স্বাক্ষর করেননি এবং তার আইনি দল এই বিষয়ে মামলা চালিয়ে যাবে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম এই চিঠিটি নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল, যার ফলে ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা দায়ের হয়। তিনি দাবি করেছেন যে চিঠিটি এবং এতে থাকা নারীর রেখাচিত্রটি ভুয়া এবং তার স্বাক্ষরও জাল।
এপস্টাইন ২০১৯ সালে যৌন পাচারের অভিযোগে বিচারাধীন অবস্থায় আত্মহত্যা করেছিলেন। এই ঘটনাটি ট্রাম্পের সমর্থকদের অবিচল আনুগত্য এবং রাজনৈতিক আখ্যান, মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং জনসাধারণের ধারণার মধ্যেকার জটিল সম্পর্ককে তুলে ধরেছে। বিষয়বস্তুর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রকৃতি সত্ত্বেও, এই ঘটনাটি ট্রাম্পের সমর্থকদের একটি অংশকে উজ্জীবিত করেছে, যারা মনে করে যে মিডিয়া এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অন্যায়ভাবে তাকে লক্ষ্যবস্তু করছে। ২০২৫ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, এই বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে, যেখানে চিঠির সত্যতা এবং এপস্টাইনের কার্যকলাপের তদন্তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বৃহত্তর প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছে।