ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পের গাজা সংঘাত নিরসনের ২০-দফা পরিকল্পনাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন। এই ঘোষণাটি মোদির অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ব্যাপক পরিকল্পনাকে সমর্থন করে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি উভয়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের সম্ভাবনার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষকে এই সংঘাত অবসানের জন্য উদ্যোগের পিছনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে উন্মোচন করা ২০-দফা পরিকল্পনায় গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের রূপরেখা দিয়েছেন। এর মূল উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি মুক্তির জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা, পর্যায়ক্রমে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনিময়। পরিকল্পনার আরও কিছু অংশে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং অন্তর্বর্তীকালীন শাসনের জন্য একটি প্রযুক্তিবিদ-চালিত ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পরিকল্পনায় হামাস এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিবর্তে একটি সংস্কারকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সম্ভাব্য প্রতিস্থাপনও কল্পনা করা হয়েছে, যা ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। ওয়ার্ল্ড জুয়িশ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড লডার এই ঘোষণাকে "ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি সংঘাতের অবসান এবং শান্তির জন্য একটি স্পষ্ট কাঠামো প্রদানের পরিকল্পনার সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করেছেন।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর সাফল্য হামাস, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সহ সকল জড়িত পক্ষের সহযোগিতার উপর নির্ভর করে। নিরস্ত্রীকরণ, শাসন এবং পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সমর্থন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি ভারতের সমর্থন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। এই পরিকল্পনাটি বৃহত্তর পশ্চিম এশীয় অঞ্চলের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার একটি কার্যকর পথ সরবরাহ করার লক্ষ্য রাখে।