৭ই অক্টোবর, ২০২৫, বিশ্ব ৭ই অক্টোবর, ২০২৩-এর হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন করছে, যা ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে এক বিধ্বংসী সংঘাতের সূচনা করেছিল। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে একটি শান্তি প্রস্তাব পেশ করেছেন। ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ পেশ করা এই প্রস্তাবে গাজায় একটি নিরস্ত্র অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, সকল সামরিক ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস, এবং গাজার বাসিন্দাদের জন্য পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওয়াশিংটনের প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মতি প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রাম্পের এই প্রস্তাবটি আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জ এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন, জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তুরস্কও গাজায় একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি অর্জনে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
তবে, হামাস নিরস্ত্রীকরণের শর্তে রাজি হয়নি, যদিও তারা জিম্মি মুক্তি এবং গাজার প্রশাসনের একটি ফিলিস্তিনি সংস্থার হাতে হস্তান্তরের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনার অগ্রগতিতে আস্থা প্রকাশ করেছেন, উল্লেখ করেছেন যে হামাস শান্তি পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ বিবরণগুলির সাথে একমত হয়েছে, এবং মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক শান্তি অর্জন করার এবং তারপর ইউক্রেনের সংঘাতের সমাধানে মনোযোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৭ই অক্টোবরের ঘটনার দ্বিতীয় বার্ষিকী শোকাবহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও পালিত হয়েছে। লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে হাজার হাজার ইহুদি হামাসের হামলার শিকারদের স্মরণে সমবেত হয়েছিল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধের শুরু থেকে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করেছে, যা ১১৫২ জন।