ইউক্রেনের অভ্যন্তরে সামরিক প্রশিক্ষণ মিশন সম্প্রসারণে ইইউ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সমর্থন

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে ইইউ-এর সামরিক প্রশিক্ষণ মিশন সম্প্রসারণের বিষয়ে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন। এই সম্প্রসারণ একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির উপর নির্ভরশীল এবং এর লক্ষ্য হলো রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান করা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া ক্যালাস জানিয়েছেন যে, এই পর্যন্ত ইইউ প্রায় ৮০,০০০ ইউক্রেনীয় সৈন্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, এই সম্প্রসারণের জন্য ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের ঐকমত্য প্রয়োজন, যা হাঙ্গেরির মতো দেশগুলোর পূর্বের বিরোধিতার কারণে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ২০০২২ সাল থেকে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে, যা সংঘাতের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে পরিবর্তিত হয়েছে।

এই উদ্যোগটি ইউরোপীয় নিরাপত্তা কৌশলের একটি বৃহত্তর অংশ, যার মধ্যে প্রতিরক্ষা অবকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য 'রেডিজিনেস ২০৩০' (Readiness 2030) প্রস্তাবনাও অন্তর্ভুক্ত। এই প্রস্তাবনাটি ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিশেষ কর্মসূচি, যা বর্তমানে SAFE নামে পরিচিত, €১৫০ বিলিয়ন কম সুদের ঋণ প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা উন্নত অস্ত্র ও গোলাবারুদ অধিগ্রহণে সহায়তা করবে। এই পরিকল্পনাটি প্রায় €৮০০ বিলিয়ন পর্যন্ত তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সাম্প্রতিক রাশিয়ার কিয়েভে চালানো বিমান হামলা, যাতে বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং কূটনৈতিক স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে, তা ইউরোপীয় নেতাদের রাশিয়ার প্রতি আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাতে উৎসাহিত করেছে। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার হিমায়িত সম্পদ জব্দ করা, আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে আরও সহায়তা প্রদানের উপর জোর দিয়েছেন।

ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ইইউ-এর বর্তমান মিশন, EUMAM Ukraine, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে চালু রয়েছে এবং এটি ইউক্রেনের অনুরোধে একটি প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া। এই মিশনের মেয়াদ ২০২৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই মিশনটি ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ব্যক্তিগত, সম্মিলিত এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্পকে সমর্থন করার এবং ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের সাথে এর সহযোগিতা ও একীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ডেনমার্ক ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোকে তাদের দেশে স্বাগত জানিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেছে। এই পদক্ষেপগুলো ইউরোপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রদানে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উৎসসমূহ

  • Българска Телеграфна Агенция

  • Reuters

  • AP News

  • Euractiv

  • Wikipedia

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।