প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট উইসকনসিনে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ডেটা সেন্টারগুলির সম্প্রসারণের জন্য $4 বিলিয়ন বিনিয়োগ করছে। এই বিশাল বিনিয়োগের মাধ্যমে, মাউন্ট প্লিজেন্ট, উইসকনসিনে একটি দ্বিতীয় AI ডেটা সেন্টার নির্মিত হবে, যা প্রথমটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল AI পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা, হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্থানীয় কর্মীবাহিনীর উন্নয়নে সহায়তা করা।
প্রথম ডেটা সেন্টারটি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে চালু হওয়ার কথা রয়েছে এবং এটি শত শত হাজার Nvidia Blackwell GB200 গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) ধারণ করবে, যা উন্নত AI মডেলগুলি পরিচালনা করতে সক্ষম। এই নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে প্রায় ২,৩০০ ইউনিয়নভুক্ত নির্মাণ শ্রমিক এবং ২,০০০ স্থায়ী কর্মীর কর্মসংস্থান হবে। মাইক্রোসফট স্থানীয় প্রতিষ্ঠান যেমন গেটওয়ে টেকনিক্যাল কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-মিলওয়াকি-এর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০,০০০-এর বেশি বাসিন্দাকে AI-তে প্রশিক্ষিত করার জন্য।
এই ডেটা সেন্টারগুলি উইসকনসিনে একটি নতুন ২৫০-মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্বারা চালিত হবে, যা ২০২৭ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এই বিনিয়োগ মাইক্রোসফটের AI পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং উইসকনসিনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। এই সম্প্রসারণটি উইসকনসিনকে AI উন্নয়নের একটি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
Nvidia Blackwell GB200 GPU গুলি হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যা AI মডেলগুলির প্রশিক্ষণ এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই GPU গুলি, যা "বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী AI ডেটা সেন্টার" নামে পরিচিত, অভূতপূর্ব কম্পিউটিং শক্তি সরবরাহ করবে। মাইক্রোসফটের এই বিনিয়োগ শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মীবাহিনীর উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গেটওয়ে টেকনিক্যাল কলেজ ডেটা সেন্টার কর্মীদের জন্য একটি নতুন সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম চালু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ডেটা সেন্টার শিল্পে কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত করবে। ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-মিলওয়াকি-তে একটি AI কো-ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, যা স্থানীয় ব্যবসাগুলিকে AI সমাধানগুলি তাদের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়তা করবে। এই উদ্যোগটি উইসকনসিনকে AI-এর ভবিষ্যৎ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসবে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। পরিবেশগত দিক থেকেও, সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবহার ডেটা সেন্টারগুলির শক্তি চাহিদা মেটাতে একটি টেকসই সমাধান প্রদান করবে।