জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে পাপুয়া নিউ গিনি (পিএনজি) সফর করেন। এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির জন্য একজন কর্মরত জাতিসংঘের প্রধানের প্রথম সফর। এই সফরটি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএনজির স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হয়।
পোর্ট মরসবির জাতীয় সংসদে দেওয়া এক ভাষণে, গুতেরেস পিএনজির "সাহসী জলবায়ু পদক্ষেপের" প্রশংসা করেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) পিএনজির ভূমিকার উপর জোর দেন। উল্লেখ্য, জুলাই, ২০২৫ সালে আইসিজে এই মর্মে একটি উপদেষ্টা মতামত দেয় যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রহকে রক্ষা করতে ব্যর্থ দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে পারে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ক্ষতিপূরণ পেতে পারে। এই মতামতটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু আইনে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গুতেরেস উল্লেখ করেন যে, পিএনজি কার্বন শোষণকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রকৃত জলবায়ু নেতৃত্ব প্রায়শই ধনী দেশগুলো থেকে নয়, বরং যারা পরিবেশগত ঝুঁকির সঙ্গে সরাসরি পরিচিত, তাদের কাছ থেকেই আসে। এর প্রতিক্রিয়ায়, প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে একটি সবুজ, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পথের প্রতি পিএনজির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রধান কার্বন-নিঃসরণকারী দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় বৃহত্তর দায়িত্ব রয়েছে।
গুতেরেস ২৪ বছর ধরে চলমান বgainville শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি পিএনজির ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেন এবং এই ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, পিএনজি এবং বgainville সংলাপ, অধ্যবসায় এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে শান্তির পথে এগিয়ে চলেছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য একটি উদাহরণ। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় পিএনজির উল্লেখযোগ্য অবদানের প্রতি জাতিসংঘের স্বীকৃতির উপর আলোকপাত করে। পিএনজি, যা প্রায় ৮০টিরও বেশি ভাষাভাষী এবং অসংখ্য ঐতিহ্যের দেশ, জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব মঞ্চে নেতৃত্ব দিচ্ছে।