সিওল: আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক

সম্পাদনা করেছেন: S Света

সিওল, দক্ষিণ কোরিয়া – ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন গিউ-ব্যাক এবং জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গেন নাকাতানি সিওলে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৈঠকে মিলিত হন। পূর্ব এশিয়ার ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি গত এক দশকের মধ্যে জাপানের কোনো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রথম আনুষ্ঠানিক সফর।

দুই দিনের এই সফরের অংশ হিসেবে, মন্ত্রী নাকাতানি সিওল ন্যাশনাল সিমেট্রি পরিদর্শন করেন, যা কোরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদদের এবং কোরীয় যুদ্ধের বীরদের স্মরণে নির্মিত একটি পবিত্র স্থান। এছাড়াও তিনি কোরিয়ান নেভি দ্বিতীয় ফ্লিট পরিদর্শন করেন, যা দেশের সামুদ্রিক সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পরিদর্শনগুলোর মাধ্যমে মন্ত্রী নাকাতানি কোরিয়ার ইতিহাস ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন চীন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বেইজিং-এ একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন, যা এই তিন দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী জোটের ইঙ্গিত দেয়। এই প্রেক্ষাপটে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি লি জে-মিউং এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মধ্যে পূর্বের আলোচনায় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। যদিও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পদত্যাগ জাপানের বৈদেশিক নীতিতে সম্ভাব্য অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে, তবে এই প্রতিরক্ষা বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সমন্বয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রৈপক্ষিক (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ) প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। উভয় দেশই তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া উন্নত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

উৎসসমূহ

  • Reuters

  • Reuters

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।