আগামী শুক্রবার, আগস্ট ২৯, ২০২৫ তারিখে নিউ ইয়র্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সাথে ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই আলোচনায় ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, বিশেষ করে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে দেশটির সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান দুই উপদেষ্টা, তাঁর চিফ-অফ-স্টাফ অ্যান্ড্রিয় ইয়্যারমাক এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ এই আলোচনায় অংশ নেবেন। এই বৈঠকটি ইউক্রেনের কূটনৈতিক তৎপরতার একটি অংশ, যা সম্প্রতি সৌদি আরব এবং সুইজারল্যান্ডেও অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিয়াদের আলোচনায় ইউক্রেনের শান্তি প্রক্রিয়া এবং সৌদি আরবের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করা হয়। সেখানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খালিদ বিন সালমান আল সৌদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসায়েদ বিন মোহাম্মদ আল-আইবান-এর সাথে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ হয়। এই আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় এবং সৌদি আরবের এই প্রক্রিয়ায় ভূমিকা।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের আলোচনায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার সামরিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিকগুলো নিয়ে আলোকপাত করবেন। এই আলোচনার প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপি-র ৫% পর্যন্ত ব্যয় করার অঙ্গীকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বর্ধিত প্রতিরক্ষা ব্যয় ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরতা কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো একটি "ইচ্ছুক জোট" গঠনের মাধ্যমে ইউক্রেনে শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে, যদিও এই বাহিনীর প্রকৃতি এবং কার্যকারিতা নিয়ে এখনও বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে মার্কিন সৈন্য মোতায়েন না করার ব্যাপারে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, তবে তিনি আকাশপথে গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই আলোচনাগুলো ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি এবং একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পথ প্রশস্ত করতে পারে। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের আলোচনায় এই বিষয়গুলো তুলে ধরবে, যাতে একটি কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।