২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোরতা এবং বহিষ্কারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (DHS) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাস নাগাদ প্রতিদিন প্রায় ১,৫০০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা মোট বহিষ্কারের সংখ্যা ৩৩২,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই বছরের জুন মাস পর্যন্ত, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) রেকর্ড ১,১৮৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে ২০৯টি ছিল বহিষ্কারের জন্য।
নীতি পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, সীমান্ত পার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে আটক ব্যক্তিদের বহিষ্কারের উপর বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। DHS সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন যে গুরুতর অপরাধী পটভূমির ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। যদিও প্রতি বছর ১০ লক্ষ ব্যক্তিকে বহিষ্কার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে তা এখনও পূরণ হয়নি।
এই বর্ধিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের জন্য ICE-কে 'ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট'-এর মাধ্যমে ৭৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। আটকের ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। ১০০,০০০ ব্যক্তিকে আটক রাখার পরিকল্পনা রয়েছে এবং অন্তত ১১টি নতুন ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে, যা ১৮,০০০ এর বেশি অতিরিক্ত বেড যুক্ত করবে। নেব্রাস্কা রাজ্যের ম্যাককুক-এ একটি কারাগারকে 'কর্ভাস্কার কিন্ক' নামে একটি অভিবাসন ডিটেনশন সেন্টারে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
এই কঠোর ব্যবস্থাগুলি অভিবাসী সম্প্রদায় এবং অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলছে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যালিফোর্নিয়ার অক্সনার্ড অঞ্চলের কৃষি শিল্পে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে, যার ফলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। কিছু প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে এই নীতির ফলে কৃষি খাতে শ্রমিক ঘাটতি ২০-৪০% পর্যন্ত হতে পারে এবং ফসলের ক্ষতি ৩-৭ বিলিয়ন ডলার হতে পারে, যার ফলে উৎপাদিত পণ্যের দাম ৫-১২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই ঘটনাগুলি মার্কিন অভিবাসন নীতির চলমান বিতর্ক এবং পরিবর্তনের উপর আলোকপাত করে, যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবগুলি জাতীয় আলোচনা এবং নীতি নির্ধারণে প্রাসঙ্গিক। পূর্ববর্তী প্রশাসনের তুলনায় এই বছরের বহিষ্কারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, যা অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোর নীতির একটি চিত্র তুলে ধরে।