কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পণ্যের উপর থেকে প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি (USMCA) এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া হয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল, ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপর শুল্ক বহাল থাকবে।
এই পদক্ষেপটি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় কানাডার ২৫% শুল্ক আরোপের পর নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানিয়েছেন যে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৮৫% এর বেশি বাণিজ্য শুল্কমুক্ত রয়েছে এবং বেশিরভাগ পণ্যের জন্য মুক্ত বাণিজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (OECD) কানাডার ২০২২ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ০.৭% করেছে, যা পূর্বের ২% থেকে একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাস। এই সংশোধনের কারণ হিসেবে বাণিজ্য বিরোধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে দায়ী করা হয়েছে, যা বিনিয়োগ এবং ভোক্তা ব্যয়কে প্রভাবিত করছে। OECD-এর মার্চ ২০২২ সালের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, উচ্চ বাণিজ্য বাধা মূল্যস্ফীতির চাপ সৃষ্টি করছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়।
কানাডা পূর্বে বিভিন্ন মার্কিন পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করেছিল, যার মধ্যে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর শুল্কও অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী কার্নির বর্তমান পদক্ষেপ এই বাণিজ্য বিরোধের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নির্দেশ করে, যার লক্ষ্য আলোচনার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং অর্থনৈতিক বিঘ্ন কমানো।
২০২২ সালে USMCA চুক্তির পর্যালোচনা নির্ধারিত রয়েছে, যা উত্তর আমেরিকার বাণিজ্য গতিশীলতা স্থিতিশীল করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান আলোচনা এই জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং উভয় দেশের জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক হবে।