জার্মানি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ আশ্রয় আইন সংস্কারের একটি প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছে, যার মূল লক্ষ্য হল অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। এই সংস্কারগুলি ২০২৬ সালের শরৎকালে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
জার্মানির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এই আইনি পরিবর্তনগুলিকে একটি "বড় পদক্ষেপ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সদস্য রাষ্ট্রও প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে "আরও কঠোর এবং গুরুতর" ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্য রাখে। এই সংস্কারগুলির মধ্যে নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণ করা এবং যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তাদের আরও সুশৃঙ্খলভাবে ফেরত পাঠানো অন্তর্ভুক্ত।
মানবাধিকার সংগঠন এবং কর্মীরা এই সংস্কারগুলির সমালোচনা করেছেন, আশ্রয়প্রার্থীদের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা যুক্তি দেন যে নতুন নিয়মাবলীর অধীনে, আইনি মর্যাদা নেই এমন ব্যক্তিদেরও তাদের পরিবারের সম্পৃক্ততা ছাড়াই ফেরত পাঠানোর আওতায় আনা উচিত।
প্রস্তাবিত সংস্কারগুলি অভিবাসন নীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নির্দেশ করে, যার লক্ষ্য হল আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা সীমিত করা এবং যাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা। যদিও অভিবাসন প্রবাহ পরিচালনা এবং সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার ঘোষিত লক্ষ্যগুলি সরকারি দৃষ্টিকোণ থেকে বোধগম্য, মানবাধিকার সংগঠনগুলির সমালোচনা গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক এবং মানবিক উদ্বেগ উত্থাপন করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলিও প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে এগোচ্ছে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি সমন্বিত নীতির ইঙ্গিত দেয়। এটি দীর্ঘমেয়াদী আলোচনা এবং আশ্রয় সংস্কারের প্রতিক্রিয়ার একটি অংশ।
২০২৪ সালে, জার্মানিতে প্রায় ২,২৯,৭৫১ টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছিল, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩০.২% কম। তবে, এই নীতিগুলির মানবিক প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি জোর দিয়ে বলেছে যে জার্মানির আন্তর্জাতিক আইনি দায়িত্ব হল আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং রাজনৈতিক সুবিধার জন্য আশ্রয় অধিকারকে আপোস করা উচিত নয়।