পোল্যান্ডের আকাশসীমায় গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর রাতে দুটি অজ্ঞাত ড্রোন প্রবেশ করেছিল। পোলিশ সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে এই ড্রোনগুলো কোনও হুমকি সৃষ্টি করেনি এবং এদের বাধা দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। উভয় ড্রোনই কোনও ক্ষতি না করে পোল্যান্ডের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছিল। পোলিশ সামরিক বাহিনীর অপারেশনাল কমান্ডার জেনারেল ম্যাকেই ক্লিশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, “আমরা দুটি আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা দেখেছি। এই দুটি লঙ্ঘনই জাতীয় বাহিনী এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অধীনে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।” জেনারেল উইস্লাউ কুকুল্লা, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, আরও যোগ করেছেন যে ড্রোন দুটি পোল্যান্ডের আকাশসীমা থেকে কোনও রকম ক্ষতি ছাড়াই বেরিয়ে গেছে।
তবে, ড্রোনগুলো ঠিক কোথা থেকে প্রবেশ করেছিল সে সম্পর্কে পোলিশ সামরিক বাহিনী কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। এই ঘটনাটি পোল্যান্ডের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ দেশটি ন্যাটো সদস্য এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান সমর্থক। ২০২২ সালে ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ভুল নিক্ষেপের পর পোল্যান্ডে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল, যা দেশটির আকাশসীমা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। এছাড়াও, আগস্ট ২০২৫-এ বেলারুশ থেকে আসা একটি ড্রোনের পোল্যান্ডে আছড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছিল।
এই সাম্প্রতিক ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনাগুলো পূর্ব ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ন্যাটো জোটের উপর এর প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। লিথুয়ানিয়ার মতো অন্যান্য বাল্টিক দেশগুলোও রাশিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের কারণে ন্যাটোর কাছে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে, যা এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়। এই পরিস্থিতিতে, পোল্যান্ড তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহের উপর জোর দিচ্ছে।