জার্মানি স্বেচ্ছাসেবী সামরিক পরিষেবা খসড়া বিল অনুমোদন করেছে নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে

সম্পাদনা করেছেন: Tatyana Hurynovich

জার্মানির মন্ত্রিসভা দেশের প্রতিরক্ষা জোরদার করার লক্ষ্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামরিক পরিষেবা চালু করার জন্য একটি খসড়া বিল অনুমোদন করেছে। এই উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য হলো প্রশিক্ষিত রিজার্ভের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং দীর্ঘমেয়াদী সামরিক কর্মজীবনের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করা। বিলটিতে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্য নিয়োগ পুনরায় চালু করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের প্রতি জার্মানির প্রতিক্রিয়া এবং বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নতুন আইনের অধীনে, ১৮ বছর বয়সী সকল জার্মান পুরুষকে তাদের সামরিক পরিষেবার জন্য প্রস্তুতি এবং আগ্রহ সম্পর্কে একটি অনলাইন প্রশ্নাবলী পূরণ করতে হবে। ২০২৬ সাল থেকে শুরু করে, ২০২৬ সালে ২০,০০০ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৮,০০০ সৈন্য নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হয়, তবে সরকার সংসদীয় অনুমোদনের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক সৈন্য নিয়োগ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জার্মানি তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চায়, যা ন্যাটো (NATO) প্রতিশ্রুতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন যে জার্মানির সশস্ত্র বাহিনীকে ২০৩০-এর দশকের শুরুতে ১৮০,০০০ থেকে বাড়িয়ে ২৬০,০০০-এ উন্নীত করতে হবে। ঐতিহাসিকভাবে, জার্মানিতে ১৮৭১ সাল থেকে সামরিক পরিষেবা বিদ্যমান ছিল, তবে ২০১১ সালে এটি স্থগিত করা হয়েছিল। বর্তমান খসড়া বিলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে স্বেচ্ছাসেবী পরিষেবার উপর জোর দেওয়া হয়েছে, তবে প্রয়োজনে বাধ্যতামূলক নিয়োগের একটি বিকল্পও রাখা হয়েছে।

সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (SPD) সামরিক বাহিনীকে একটি আকর্ষণীয় নিয়োগকর্তা হিসেবে গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছে, যেখানে আকর্ষণীয় বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই বিলটি এখন সংসদে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, যা জার্মানির প্রতিরক্ষা নীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • Reuters

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।