১৭ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নাগরিক দেশব্যাপী বিক্ষোভে অংশ নেয়। গাজার যুদ্ধ বন্ধ এবং হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকা বহন করে এবং জিম্মিদের ছবি প্রদর্শন করে। ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কারণে একটি বিমান হামলার সতর্কীকরণ সাইরেন বেজে উঠলে বিক্ষোভ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। জেরুজালেমে সড়ক অবরোধকারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে, যার ফলে দুপুর নাগাদ ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এই বিক্ষোভের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
এই বিক্ষোভে প্রায় ৫০ জন জিম্মি হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠী কর্তৃক গাজায় পণবন্দী অবস্থায় আছে বলে ধারণা করা হয়, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হয়। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালাল স্মোট্রিচ এই বিক্ষোভকে "হামাসের হাতে খেলার একটি বিকৃত ও ক্ষতিকর প্রচারণা" বলে অভিহিত করেছেন। এই বিক্ষোভগুলো গাজা যুদ্ধ এবং জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চলমান অস্থিরতা ও সরকারি নীতির উপর জনগণের অসন্তোষের প্রতিফলন ঘটায়। বিশেষ করে, গাজা শহরে ইসরায়েলের পরিকল্পিত সামরিক অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ অনেকেই মনে করছেন এটি জিম্মিদের জীবনকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ব্যাপক বিক্ষোভ ইসরায়েলি সরকারের উপর নীতি পরিবর্তনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে।