গাজার দক্ষিণে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তর: যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আহ্বান

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার (আগস্ট ১৬, ২০২৫) ঘোষণা করেছে যে তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাঁবু এবং আবাসন সরঞ্জাম স্থানান্তর শুরু করবে। এই পদক্ষেপটি উত্তরের যুদ্ধাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য আবাসন সরবরাহের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) শনিবার জানিয়েছে যে গাজার এক মিলিয়ন নারী ও শিশু ব্যাপক ক্ষুধা, সহিংসতা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে যে খাবার ও পানির সন্ধানে নারীরা বিপজ্জনক কৌশল অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা এবং অন্যান্য নাগরিকরা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছে। রবিবার (আগস্ট ১৭, ২০২৫) এই ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয় এবং যান চলাচল ব্যাহত করা হয়। এই প্রতিবাদের ফলে ইসরায়েলি পুলিশ অন্তত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ ইয়েনচা এই পরিস্থিতিকে একটি "ভয়াবহ অধ্যায়" হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্ক ইসরায়েলের এই পরিকল্পনাকে "শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় আঘাত" বলে মন্তব্য করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটি প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছে। চীনও এই পরিকল্পনা নিয়ে "গুরুতর উদ্বেগ" প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে "গাজা ফিলিস্তিনি জনগণের এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ"। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২৬শে জুলাই, ২০২৫ পর্যন্ত ১২২ জন দুর্ভিক্ষে মারা গেছে। বর্তমানে প্রায় ৫০ জন জিম্মি গাজায় বন্দী রয়েছে। এই ঘটনাগুলি গাজায় চলমান মানবিক সংকট, জিম্মি পরিস্থিতি এবং এই সংঘাতের রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, যা এই অঞ্চলের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • Reuters

  • AP News

  • United Nations

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।