গাজা সিটি (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) – ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো গাজা সিটির গভীরে প্রবেশ করেছে। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাস অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য বিমান হামলা চালাচ্ছে এবং বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। তবে, অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত, কারণ তারা স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ভয় এবং সরিয়ে নেওয়ার পথের বিপদ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। আইডিএফ দাবি করেছে যে গাজা সিটির উঁচু ভবনগুলো হামাস ব্যবহার করছে। অন্যদিকে, জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা এই আক্রমণকে নিন্দা জানিয়েছে এবং আরও প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষতি রোধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সকল পক্ষকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে, ইসরায়েলি বাহিনী সালাহুদ্দিন রোডকে একটি 'নিরাপদ করিডোর' হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা বেসামরিক নাগরিকদের দক্ষিণে যাওয়ার জন্য একটি নতুন পথ খুলে দিয়েছে। লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে বাসিন্দাদের শুক্রবার দুপুরের মধ্যে শহর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, অনেক বাসিন্দা এই নির্দেশের প্রতি সন্দিহান। সাবরা এলাকার একজন স্কুল শিক্ষক বলেছেন, “এমনকি যদি আমরা গাজা সিটি ছাড়তে চাই, আমরা কি ফিরে আসতে পারব তার কোনো নিশ্চয়তা আছে কি? যুদ্ধ কি কখনো শেষ হবে? এই কারণেই আমি আমার পাড়ায়, সাবরাতে মরতে পছন্দ করব।”
বুধবারের হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১৯ জন গাজা সিটিতে মারা গেছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এই সংঘাতের ফলে গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই আক্রমণ এবং বেসামরিকদের উপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আইডিএফ-এর এই অভিযানটি হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে, তবে এর ফলে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে, কিন্তু পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং অস্থিতিশীল রয়ে গেছে। প্রায় এক মিলিয়ন ফিলিস্তিনি এই শহরে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ।