১৬ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, এয়ার কানাডার ১০,০০০-এর বেশি বিমান কর্মী ধর্মঘটে যাওয়ার ফলে কানাডার বৃহত্তম বিমান সংস্থাটির সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বেতন এবং গ্রাউন্ড ডিউটির জন্য ক্ষতিপূরণ নিয়ে চুক্তি আলোচনায় অচলাবস্থার কারণে এই ধর্মঘট শুরু হয়। এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্য, কানাডা সরকার শ্রম মন্ত্রী প্যাটি হাজডু-র মাধ্যমে কানাডিয়ান লেবার কোডের ১০৭ ধারা প্রয়োগ করে একটি বাধ্যতামূলক সালিশি প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। ধর্মঘটের ফলে প্রতিদিন প্রায় ১,৩০,০০০ যাত্রী প্রভাবিত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৫,০০০ কানাডিয়ান বিদেশে আটকা পড়েছেন।
এই পরিস্থিতি কানাডার অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মের পিক সিজনে ভ্রমণকারীদের জন্য। এয়ার কানাডা তাদের কর্মীদের জন্য চার বছরে ৩৮% মোট ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছিল, যার মধ্যে প্রথম বছরে ২৫% বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, কানাডিয়ান ইউনিয়ন অফ পাবলিক এমপ্লয়িজ (CUPE) এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ তাদের মতে মুদ্রাস্ফীতি এবং লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে এটি যথেষ্ট নয়। ইউনিয়ন জানিয়েছে যে, নতুন কর্মীদের বেতন গত ২৫ বছরে মাত্র ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সরকারের এই হস্তক্ষেপের ফলে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে এবং কানাডা ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বোর্ড (CIRB) সালিশি প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবে। যদিও এই পদক্ষেপ যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব করেছে, তবে এটি বিমান কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকার খর্ব করেছে বলে ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে। তারা মনে করে, সরকার এয়ার কানাডার পক্ষ নিয়েছে এবং তাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই ঘটনাটি বিমান শিল্পে শ্রম সম্পর্ক, ধর্মঘটের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সরকারি হস্তক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এটি মুদ্রাস্ফীতির মতো বর্তমান অর্থনৈতিক উদ্বেগ এবং ক্ষতিপূরণে লিঙ্গ বৈষম্যের মতো সামাজিক বিষয়গুলিও সামনে এনেছে। এই ধর্মঘটটি ১৯৮৫ সালের পর এয়ার কানাডার বিমান কর্মীদের প্রথম ধর্মঘট, যা পূর্বেকার চুক্তি আলোচনায় অচলাবস্থার একটি গুরুতর চিত্র তুলে ধরেছে।