২৮শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, স্পেসএক্স ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সকাল ৪:১২ মিনিটে ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করে। স্টারলিঙ্ক ১০-১১ নামে পরিচিত এই মিশনে ২৮টি স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এই উৎক্ষেপণটি স্পেসএক্সের পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট কর্মসূচির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ ফ্যালকন ৯ বুস্টার, বি১০৬৭, তার ৩০তম উড়ান সম্পন্ন করে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে।
এর পূর্বে, বি১০৬৭ বুস্টারটি সিআরএস-২২, ক্রু-৩, তুর্কস্যাট ৫বি, ক্রু-৪, সিআরএস-২৫, ইউটেলস্যাট হটবার্ড ১৩জি, ও৩বি এমপাওয়ার-এ, পিএসএন সাতরিয়া, টেলকোমস্যাট মেরাহ পুতিহ ২, গ্যালিলিও এল১৩, কোরস্যাট-৬এ এবং ১৮টি স্টারলিঙ্ক মিশন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিশনে অংশ নিয়েছে। এই অর্জন স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ যানের নির্ভরযোগ্যতা এবং পুনঃব্যবহারযোগ্যতার ক্রমবর্ধমান প্রমাণ।
উৎক্ষেপণের পর প্রথম পর্যায় পৃথকীকরণের পর, বুস্টারটি আটলান্টিক মহাসাগরে "এ শর্টফল অফ গ্র্যাভিটাস" ড্রোনেশিপে সফলভাবে অবতরণ করে। এই পুনরুদ্ধার স্পেসএক্সের পুনঃব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মহাকাশে প্রবেশের খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। স্টারলিঙ্ক ১০-১১ মিশনটি স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট কনস্টেলেশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়।
পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট প্রযুক্তিতে কোম্পানির অগ্রগতি এটিকে বাণিজ্যিক মহাকাশ শিল্পের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফ্যালকন ৯ বুস্টার বি১০৬৭-এর এই ৩০তম উড়ান এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা এবং নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ। এই প্রযুক্তি উৎক্ষেপণের খরচ প্রায় ৭০% পর্যন্ত কমাতে পারে, যা মহাকাশকে আরও সহজলভ্য করে তোলে এবং নতুন বাণিজ্যিক ও বৈজ্ঞানিক উদ্যোগের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। স্পেসএক্সের এই ধারাবাহিক সাফল্য মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন যুগের সূচনা করেছে, যেখানে খরচ কমানো এবং পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।