রকেট ল্যাব তাদের নিউট্রন রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণ ২০২৫ সালের শেষার্ধে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস আইল্যান্ডের মিড-অ্যাটলান্টিক রিজিওনাল স্পেসপোর্ট-এর লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩ থেকে এই উৎক্ষেপণটি করা হবে। এই পুনঃব্যবহারযোগ্য মাঝারি-লিফ্ট রকেটটি ১৩,০০০ কেজি পর্যন্ত পেলোড পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম।
নিউট্রন রকেটের একটি স্বতন্ত্র নকশা রয়েছে, যেখানে এর দ্বিতীয় পর্যায়টি প্রথম পর্যায়ের ভিতরে স্থাপন করা হয়েছে। উৎক্ষেপণের সময়, প্রথম পর্যায়ের "হাংরি হিপ্পো" ফেয়ারিং খুলে দ্বিতীয় পর্যায়টিকে মুক্ত করবে, যা একটি একক আর্কিমিডিস ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হবে। প্রথম পর্যায়টি পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা স্থল বা জাহাজে অবতরণ করতে পারে।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে, রকেট ল্যাব মার্কিন মহাকাশ বাহিনীর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্পেস লঞ্চ (NSSL) ফেজ ৩ লেন ১ প্রোগ্রামের অধীনে মিশনগুলির জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। এই প্রোগ্রামের জন্য নিউট্রন রকেটকে লঞ্চ ভেহিকল হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যার মধ্যে ২০২৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত পাঁচ বছরের অর্ডারিং পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং এর সর্বোচ্চ মূল্য ৫.৬ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়াও, রকেট ল্যাব ২০২৫ সালের মে মাসে মার্কিন বিমান বাহিনী গবেষণা পরীক্ষাগার (AFRL) এর সাথে একটি অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। এই সহযোগিতা পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট কার্গো পরিবহনের লক্ষ্যে একটি রকেট কার্গো মিশনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই মিশনটি ২০২৬ সালের আগে একটি রিটার্ন-টু-আর্থ নিউট্রন লঞ্চের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
বর্তমানে, নিউট্রন রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩-এ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে চলেছে। এই প্রথম উড়ান এই বছরের শেষ নাগাদ হওয়ার কথা রয়েছে। নিউট্রন রকেটের আর্কিমিডিস ইঞ্জিনটি লিকুইড অক্সিজেন এবং মিথেন ব্যবহার করে, যা এটিকে উচ্চ কর্মক্ষমতা এবং পুনঃব্যবহারযোগ্যতা প্রদান করে। রকেট ল্যাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে এই ইঞ্জিনগুলির পরীক্ষা এবং উৎপাদন পরিচালনা করছে, যার মধ্যে মিসিসিপির স্টেনিস স্পেস সেন্টার এবং ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচ অন্তর্ভুক্ত।