মহাকাশ প্রযুক্তি স্টার্টআপ স্টারপাথ (Starpath) নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে তাদের চন্দ্র বরফ উত্তোলনের জন্য তৈরি রোভারের উন্নত পরীক্ষা আগস্ট ২০২৫ সালে সম্পন্ন করেছে। এই পরীক্ষাটি বিশেষভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত অঞ্চলগুলিতে বরফ অনুসন্ধানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল, কারণ এই অঞ্চলগুলিতে বরফের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। স্টারপাথের রোভারটি একটি বিশেষ ডুয়াল ড্রাম ব্যারেল দিয়ে সজ্জিত, যা কঠিন চন্দ্র মাটি কার্যকরভাবে খনন করতে সক্ষম।
এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিটি নাসার ব্রেক দ্য আইস লুনার চ্যালেঞ্জ (Break the Ice Lunar Challenge) প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে স্টারপাথ ২০২৪ সালের জুন মাসে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। এই চ্যালেঞ্জটি চাঁদের বরফ খনন এবং পরিবহনের জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বিকাশের লক্ষ্যে নাসার সেন্টেনিয়াল চ্যালেঞ্জেস (Centennial Challenges) প্রোগ্রামের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। স্টারপাথের প্রচেষ্টা নাসার আর্টেমিস (Artemis) কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার লক্ষ্য চাঁদে মানুষের উপস্থিতি স্থাপন এবং মঙ্গল গ্রহে ভবিষ্যতের অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফের উপস্থিতি পানীয় জল এবং রকেট জ্বালানী উৎপাদনের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ হতে পারে। নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ভি-২০ থার্মাল ভ্যাকুয়াম চেম্বারে (V-20 Thermal Vacuum Chamber) এই পরীক্ষাগুলি পরিচালিত হয়, যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর প্রতিকূল পরিবেশের অনুকরণ করে। স্টারপাথের মতো সংস্থাগুলির সাফল্য মহাকাশ অনুসন্ধানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে।
নাসার সেন্টেনিয়াল চ্যালেঞ্জেস প্রোগ্রামটি চাঁদের এবং মঙ্গল গ্রহের অনুসন্ধানে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এই রোভার প্রযুক্তিটি চাঁদের বরফ উত্তোলনের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, যা ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণার জন্য অপরিহার্য। অক্টোবর ২০২৫ সাল পর্যন্ত, স্টারপাথ তাদের রোভারের ক্ষমতা আরও উন্নত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি চাঁদের বরফকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চন্দ্র ঘাঁটি স্থাপন এবং মহাকাশ যাত্রার খরচ কমাতে সহায়ক হবে।