আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) তাদের আর্টেমিস III মিশনের জন্য স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SLS) রকেটের সমাবেশ শুরু করেছে। এই মিশনটি ১৯৭২ সালের পর প্রথম মানববাহী চন্দ্রাভিযান হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে। ৯৮ মিটার দীর্ঘ এবং ২৬০০ টন ওজনের SLS রকেটটি পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ৯৫ টন এবং চন্দ্রাভিমুখী পথে ২৭ টন পর্যন্ত ভার বহন করতে সক্ষম।
বর্তমানে, আর্টেমিস III মিশনের জন্য SLS রকেটটি নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে উল্লম্বভাবে একত্রিত করা হচ্ছে। এর মোবাইল লঞ্চার এবং টেইল সার্ভিস মাস্ট ইতিমধ্যেই সরবরাহ করে একটি বিশেষ স্ট্যান্ডে স্থাপন করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন অংশকে প্রস্তুত করার সুযোগ করে দেয়, যা আর্দ্রতা জমা এবং বরফ তৈরি হওয়া থেকে রক্ষা করে। SLS রকেটের প্রথম পর্যায়ের অংশগুলি, যার মধ্যে তরল হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের ট্যাঙ্কগুলি অন্তর্ভুক্ত, বর্তমানে নিউ অরলিন্সের মিশৌড অ্যাসেম্বলি ফ্যাসিলিটিতে রয়েছে। এগুলি তৈরি এবং RS-25 ইঞ্জিনগুলির সাথে একীভূত করার পর, যা নাসার স্টেনিস সেন্টার থেকে সরবরাহ করা হবে, এই উপাদানগুলি ফ্লোরিডায় পাঠানো হবে আরও সমাবেশ এবং পরীক্ষার জন্য।
আর্টেমিস III মিশন, যা ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্ধারিত হয়েছে, ১৯৭২ সালের পর প্রথম মানববাহী চন্দ্রাভিযান হবে। এই মিশনে, অরিয়ন মহাকাশযানে চারজন নভোচারী চাঁদের কক্ষপথে ভ্রমণ করবেন। এরপর, স্টারশিপ হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেমের সহায়তায় দুইজন নভোচারী চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবেন। স্টারশিপ মহাকাশযানের বিকাশে কিছু সমস্যার কারণে আর্টেমিস III মিশনের অগ্রগতিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে, নাসা তাদের মিশনের জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে এবং SLS রকেটের সমাবেশ শুরু করেছে, যা অরিয়ন উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হবে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে, নাসা মানুষকে চাঁদে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং মহাকাশের আরও গভীরে অন্বেষণ করার তাদের লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে।