নাসার আর্টেমিস II মিশন, যা ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত, এটি অরিয়ন মহাকাশযানের প্রথম মনুষ্যবাহী উড়ান হতে চলেছে। এই মিশনটি নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যার লক্ষ্য চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষের উপস্থিতি পুনরায় স্থাপন করা। এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদের চারপাশে ১০ দিনের একটি যাত্রা করবেন। এটি ২০২২ সালে পরিচালিত সফল মনুষ্যবিহীন আর্টেমিস I মিশনের পরবর্তী ধাপ।
সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলির মধ্যে একটি হল ২০২৫ সালের এপ্রিলে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SLS) কোর স্টেজের সাথে লঞ্চ ভেহিকেল স্টেজ অ্যাডাপ্টার (LVSA) এর সফল সংযোজন। এই অংশটি SLS-এর উপরের পর্যায়কে ইন্টারিম ক্রায়োজেনিক প্রপালশন স্টেজের সাথে সংযোগ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই LVSA মহাকাশযানের মূল অংশগুলির মধ্যে একটি, যা মহাকাশযানের কোর স্টেজ এবং উপরের পর্যায়কে সংযুক্ত করে, এবং এটি মহাকাশযানের অভ্যন্তরীণ ইলেকট্রনিক্সকে উৎক্ষেপণের সময়কার চরম কম্পন ও শব্দ থেকে রক্ষা করে। আর্টেমিস II মিশনের নভোচারীরা হলেন নাসা নভোচারী রেইড ওয়াইসম্যান, ভিক্টর গ্লোভার, ক্রিস্টিনা কচ এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি (CSA) নভোচারী জেরেমি হ্যানসেন। তাঁরা কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে, তাঁরা অরিয়ন ক্যাপসুলের ভিতরে লাইফ সাপোর্ট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সংযোগগুলি অনুশীলন করছেন। এই মহাকাশযানটি তাঁদের চাঁদের চারপাশে নিয়ে যাবে এবং পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। নভোচারীরা তাঁদের স্পেসস্যুট পরে অরিয়ন মহাকাশযানে প্রবেশ করে উৎক্ষেপণের দিনের কিছু পরিস্থিতি অনুশীলন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা পরীক্ষা করা এবং স্পেসস্যুটের বায়ুরোধীতা নিশ্চিত করা। এই মহাকাশযানটি তাঁদের প্রায় ১০ দিনের জন্য মহাকাশে নিয়ে যাবে। এই মিশনের উদ্দেশ্য হল ভবিষ্যতের গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমগুলির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা। নভোচারীরা লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমগুলির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করবেন, ব্যায়াম করবেন এবং মিশনের সময় মহাকাশযানের ক্ষমতাগুলি পরীক্ষা করবেন। ১৪ আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত, আর্টেমিস II মিশনটি তার এপ্রিল ২০২৬ এর পরিকল্পিত উৎক্ষেপণের জন্য সময়সূচী অনুযায়ী এগোচ্ছে। নাসা এই গুরুত্বপূর্ণ মিশনের জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের চন্দ্র এবং মঙ্গল গ্রহের অনুসন্ধানের ভিত্তি স্থাপন করবে।