নাসা এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির (CSA) নভোচারীরা আর্টেমিস II মিশনের জন্য তাদের ওরিয়ন মহাকাশযানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। সম্প্রতি কেনেডি স্পেস সেন্টারে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নভোচারীরা তাদের বিশেষ ওরিয়ন ক্রু সারভাইভাল সিস্টেম স্যুট পরে মহাকাশযানের ভেতরে বিভিন্ন মহড়া অনুশীলন করেন। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে ছিল উৎক্ষেপণের দিনের পদ্ধতি এবং মহাকাশযানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সাথে পরিচিতি লাভ করা। এটি নভোচারীদের মহাকাশের কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করছে।
আর্টেমিস II মিশনটি ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং এই মিশনে নভোচারীরা ১০ দিনের জন্য চাঁদের চারপাশে ভ্রমণ করবেন। এই মিশনটি চাঁদে মানুষের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নাসা ওরিয়ন মহাকাশযানের হিট শিল্ড (heat shield) সংক্রান্ত প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের জন্য কাজ করছে, যা আর্টেমিস I মিশনের পর কিছু অপ্রত্যাশিত ক্ষতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির নভোচারী জেরেমি হ্যানসেন এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথে ভ্রমণকারী প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। তার সাথে নাসার নভোচারী রেইড ওয়াইসম্যান (কমান্ডার), ভিক্টর গ্লোভার (পাইলট) এবং ক্রিস্টিনা কোচ (মিশন স্পেশালিস্ট) রয়েছেন। এই মিশনটি ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো ১৭-এর পর প্রথম মানববাহী চন্দ্রাভিযান হবে যা পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ভ্রমণ করবে।
প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে, নভোচারীরা মহাকাশযানের ভেতরের পরিবেশ, জীবনধারণ ব্যবস্থা এবং জরুরি অবস্থার মোকাবিলার কৌশলগুলো অনুশীলন করেছেন। তারা মহাকাশযানের যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্যুট চাপ এবং লিকেজ পরীক্ষা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। এই নিবিড় প্রশিক্ষণ নভোচারীদের মিশনের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করবে এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করবে।