আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পাঁচ মাসের সফল মিশন শেষে নাসার স্পেসএক্স ক্রু-১০ নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। গত ৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রশান্ত মহাসাগরে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে তারা অবতরণ করেন। এই মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্রু-১০ মিশনের চার সদস্যের মধ্যে ছিলেন নাসার নভোচারী অ্যান ম্যাকক্লেইন ও নিকোল আয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (জাক্সা)-এর নভোচারী তাকুইয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রোসকসমস-এর নভোচারী কিরিল পেসকভ।
তারা ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপসুল 'এন্ডুরেন্স'-এ চড়ে আইএসএস-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। এটি নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের দশম অপারেশনাল ফ্লাইট ছিল। তাদের ১৪৬ দিনের মিশনে, নভোচারীরা মাইক্রোগ্রাভিটিতে ২০০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এই গবেষণাগুলোর মধ্যে নভোচারীদের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন, মস্তিষ্ক থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহের হার এবং চন্দ্রাভিযানের জন্য নতুন নেভিগেশন কৌশল পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো মহাকাশে দীর্ঘমেয়াদী মানব অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার যাত্রা শুরু হয় ৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, যখন ড্রাগন ক্যাপসুলটি আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। প্রশান্ত মহাসাগরে এই অবতরণ স্পেসএক্সের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, কারণ পূর্ববর্তী সকল মিশন ফ্লোরিডার উপকূলে অবতরণ করেছিল। এই মিশনের সাফল্য নাসা, স্পেসএক্স এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে মানব মহাকাশ অনুসন্ধানের অগ্রগতিতে চলমান সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে। এই মিশনটি মহাকাশ গবেষণায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।