নাসা ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি পারমাণবিক ফিশন চুল্লি স্থাপন করার পরিকল্পনা করছে । এই উদ্যোগটি আর্টেমিস প্রোগ্রামের অংশ, যা চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষের স্থায়ী উপস্থিতি স্থাপনের জন্য তৈরি করা হয়েছে ।
এই চুল্লিটি চাঁদের দীর্ঘ রাতের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে, যা প্রায় ১৪.৫ পৃথিবীর দিনের সমান । নাসা ১০০ কিলোওয়াট চুল্লির জন্য শিল্প প্রস্তাব চাইছে । এই পদক্ষেপটি ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানগুলির জন্য শক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নাসার অঙ্গীকারকে তুলে ধরে ।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার কারণে এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। চীন ও রাশিয়া ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে ।
নাসা ২০৩০ সালের প্রথম দিকে চাঁদে কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর জন্য জ্বালানি বিভাগ এবং শিল্প অংশীদারদের সঙ্গে একটি ফিশন পাওয়ার সিস্টেম ডিজাইন, তৈরি এবং পরীক্ষা করা হচ্ছে ।
এই প্রোগ্রামের সাফল্য ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জীবন সমর্থন, বৈজ্ঞানিক যন্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য শক্তি উৎস অপরিহার্য ।