নাইজেরিয়ান শিল্পী আদাকুন্লে গোল্ড সম্প্রতি তার নতুন সিঙ্গেল 'বোবো' প্রকাশ করেছেন, যেখানে অতিথি শিল্পী হিসেবে রয়েছেন লোজায় এবং শোডে। গানটি ২০২৩ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে। এটি ওয়েস্ট আফ্রিকান টকিং ড্রামস এবং সমসাময়িক ইলেকট্রনিক উপাদানের মিশ্রণে তৈরি, যা গোল্ডের সঙ্গীত জীবনের বিবর্তনকে তুলে ধরে। নিফকিজ এবং সেইফুনমি প্রযোজিত 'বোবো' গানটিতে ব্যক্তিগত সাফল্য এবং সাহসী জীবনযাপনের থিম তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ইওরুবা এবং ইংরেজি ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে। লোজায়ের স্বতন্ত্র আরএন্ডবি স্টাইল এবং শোডের আফ্রোপপ অবদান গানটির উচ্চাকাঙ্ক্ষী বার্তাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। 'বোবো' গানটি বর্তমানে বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছে।
এটি আদাকুন্লে গোল্ডের ২০২৩ সালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা, যা তার পূর্ববর্তী সিঙ্গেল 'ওবিমো' এবং 'কোকো মানি'-এর পর নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আদাকুন্লে গোল্ডের সঙ্গীত যাত্রা বরাবরই বিবর্তনের সাক্ষী। তার প্রথম দিকের ফোক-ভিত্তিক, হাইলাইফ-অনুপ্রাণিত সঙ্গীত থেকে শুরু করে, যেখানে তিনি ঐতিহ্যবাহী ইওরুবা ফ্যাশন এবং আদির প্রিন্টের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন, তিনি ধীরে ধীরে আরএন্ডবি, পপ, ইন্ডি, আমাপিয়ানো এবং ডান্সহলের মতো বিভিন্ন ধারার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। তার এই শৈল্পিক পরিবর্তন কেবল তার সঙ্গীতেই নয়, তার ফ্যাশন এবং স্টাইলেও প্রতিফলিত হয়েছে, যা তাকে 'এজি বেবি' হিসেবে নতুন পরিচিতি দিয়েছে।
নাইজেরিয়ার সঙ্গীত শিল্প ২০২৩ সালে একটি গতিশীল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে আফ্রোবিটসের প্রভাব বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। নতুন ধারার সঙ্গীত এবং ফিউশন সাউন্ডের উত্থান, স্বাধীন শিল্পীদের ক্ষমতায়ন এবং উচ্চ মানের মিউজিক ভিডিওর উপর জোর দেওয়া এই শিল্পের অগ্রগতির লক্ষণ। আদাকুন্লে গোল্ডের মতো শিল্পীরা এই পরিবর্তনের অংশীদার, যারা ঐতিহ্যবাহী নাইজেরিয়ান সুরের সাথে বৈশ্বিক শৈলীর মিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন সঙ্গীত তৈরি করছেন। বিশেষ করে, 'বোবো' গানে টকিং ড্রামের ব্যবহার এবং ইলেকট্রনিক উপাদানের সংমিশ্রণ এই বিবর্তনের একটি চমৎকার উদাহরণ।
নিফকিজ, যিনি একজন প্রতিভাবান প্রযোজক হিসেবে পরিচিত, তিনি তার 'ইন্টারগ্যালাকটিক ড্রিমস' প্রকল্পের মাধ্যমে নিজের শিল্পী সত্ত্বাকেও তুলে ধরেছেন। তার প্রযোজনা শৈলী, বিশেষ করে ভোকাল স্যাম্পলের ব্যবহার, তাকে একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি দিয়েছে। আদাকুন্লে গোল্ডের নতুন গান 'বোবো'-তে নিফকিজের প্রযোজনা তার সঙ্গীতকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। শোডে, যিনি একজন উদীয়মান আফ্রো-ফিউশন শিল্পী, তার গানগুলিও নাইজেরিয়ার সঙ্গীত জগতে নতুনত্বের ছোঁয়া এনেছে। তার 'ব্রিকফাস্ট' ইপি-তে তিনি আফ্রোবিটসের সাথে হিপ-হপ, আরএন্ডবি এবং পপের মিশ্রণ ঘটিয়েছেন, যা তার বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দেয়। 'বোবো' গানটি আদাকুন্লে গোল্ডের ২০২৩ সালের সঙ্গীত যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। লোজায় এবং শোডের সাথে তার এই সহযোগিতা কেবল একটি গানই নয়, বরং নাইজেরিয়ার সঙ্গীত শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্য এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবের একটি প্রতিচ্ছবি।