সারাহ ফার্গুসন, ইয়র্কের ডাচেস, জেফরি এপস্টাইনকে লেখা একটি ইমেল প্রকাশিত হওয়ার পর একাধিক দাতব্য সংস্থা তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ২০১১ সালে লেখা ওই ইমেলে ফার্গুসন এপস্টাইনকে 'অটল, উদার এবং সর্বোত্তম বন্ধু' হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, যা তাঁর পূর্বের জনসমক্ষে এপস্টাইনকে নিন্দা করার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, জুলিয়ার হাউস (একটি শিশুSoS কেন্দ্র), টিিনেজ ক্যান্সার ট্রাস্ট, প্রিভেন্ট ব্রেস্ট ক্যান্সার, দ্য চিলড্রেনস লিটারেসি চ্যারিটি, দ্য ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর রিটায়ার্ড সার্ভিস অ্যানিম্যালস এবং ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন সহ একাধিক সংস্থা ডাচেসের সঙ্গে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা বা অ্যাম্বাসেডর পদ বাতিল করেছে। টিিনেজ ক্যান্সার ট্রাস্ট, যার সঙ্গে ডাচেস ৩৫ বছর ধরে যুক্ত ছিলেন, তারাও এই সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলিয়ার হাউস জানিয়েছে যে এই ধরনের যোগাযোগ তাদের সংস্থার জন্য ডাচেসের পৃষ্ঠপোষকতা চালিয়ে যাওয়া 'অনুপযুক্ত' করে তুলেছে। দ্য ন্যাশনালা অ্যালার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতারা এই চিঠিপত্র পড়ে 'বিচলিত' হয়েছেন এবং ডাচেসকে আর পৃষ্ঠপোষক হিসাবে রাখতে চাননি।
ফার্গুসনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে এপস্টাইন তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দেওয়ার পরেই আইনজীবীদের পরামর্শে এই ইমেলটি পাঠানো হয়েছিল। মুখপাত্র আরও জানান যে ডাচেস এপস্টাইনের সঙ্গে তাঁর অতীতের সংযোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তিনি তাঁর দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, এপস্টাইনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মাত্রা জানার পর তিনি কেবল যোগাযোগই বন্ধ করেননি, বরং জনসমক্ষে তাঁর নিন্দা করেছিলেন।
২০১১ সালের মার্চ মাসে, ফার্গুসন একটি সাক্ষাৎকারে এপস্টাইনের কাছ থেকে £১৫,০০০ (প্রায় $২০,২০০) ঋণ নেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি এপস্টাইনকে 'অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ' এবং 'ভুল বিচার' বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি অর্থ ফেরত দেবেন এবং 'জেফরি এপস্টাইনের সাথে আর কখনও কোনও সম্পর্ক রাখবেন না'। এই ঘটনাটি কেবল দাতব্য সংস্থাগুলির উপরই প্রভাব ফেলেনি, বরং এটি জনসমক্ষে আসা ব্যক্তিদের তাদের অতীতের সংযোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরেছে।