প্রিসিলা প্রিসলি সম্প্রতি তার প্রয়াত প্রাক্তন স্বামী, রক অ্যান্ড রোল কিংবদন্তি এলভিস প্রিসলির প্রতি একটি আবেগপূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এলভিসের মৃত্যুর ৪৬ বছর পূর্তিতে, ২০২৩ সালের ১৬ই আগস্ট, প্রিসিলা ইনস্টাগ্রামে একটি ব্যক্তিগত ছবি পোস্ট করে এই বিশেষ ডাকনামটি প্রকাশ করেন। প্রিসিলা জানান যে এলভিস তাকে আদর করে 'স্যাটিন' (Satnin) বলে ডাকতেন। এই নামটি এলভিস তার মায়ের প্রতিও ব্যবহার করতেন, যা তাদের মধ্যকার গভীর ভালোবাসা ও অন্তরঙ্গতার এক বিশেষ দিক উন্মোচন করে। এই ডাকনামটি তাদের ব্যক্তিগত জীবনের এক ঝলক দেখায়, যা জনসমক্ষে তাদের সম্পর্কের বাইরেও ছিল।
একটি পারিবারিক সূত্রের মতে, প্রিসিলা এই নামটি প্রকাশ করার মাধ্যমে এলভিসের ভক্তদের কাছে তার কোমল ও ব্যক্তিগত সত্তা তুলে ধরতে চেয়েছেন। এই অন্তরঙ্গ তথ্যটি তাদের বিবাহবিচ্ছেদের বহু বছর পরেও তাদের মধ্যেকার স্থায়ী বন্ধনের কথা মনে করিয়ে দেয়। এলভিস প্রিসলি তার জীবনে অনেককেই বিভিন্ন আদরের নামে ডাকতেন। তার মা গ্ল্যাডিস লাভ প্রিসলির পর, তিনি জুন জুয়ানিকো এবং পরবর্তীতে প্রিসিলাকেও 'স্যাটিন' নামে ডাকতেন।
এই নামের উৎপত্তি নিয়ে কিছু ভিন্ন মত থাকলেও, এটি স্পষ্ট যে এই নামটি এলভিসের কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করত। কেউ কেউ মনে করেন, নামটি 'শর্টনিং ব্রেড' (Shortnin' Bread) গানের একটি লাইন থেকে এসেছে, যেখানে 'স্যাটিন স্কিন' (satin skin) এর উল্লেখ ছিল, যা প্রিসিলার ত্বকের মসৃণতার প্রতি এলভিসের মুগ্ধতা প্রকাশ করত। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এটি তার মায়ের প্রতি ভালোবাসারই একটি প্রকাশ ছিল, যা তিনি প্রিসিলার প্রতিও প্রসারিত করেছিলেন।
প্রিসিলা এবং এলভিসের সম্পর্ক ছিল জটিল এবং বহুস্তরীয়। ১৯৫৯ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে জার্মানিতে এলভিসের সাথে তার পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে ১৩ বছরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৬৭ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের একমাত্র কন্যা লিসা মেরি প্রিসলির জন্ম হয়। তবে, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মতপার্থক্যের কারণে ১৯৭৩ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এতকিছুর পরেও, এলভিসের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের মধ্যেকার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অটুট ছিল। প্রিসিলা প্রায়শই তাদের সম্পর্কের এই বিশেষ দিকগুলো নিয়ে কথা বলেছেন, যা তাদের জীবনের উত্থান-পতন সত্ত্বেও তাদের মধ্যকার বন্ধনের গভীরতা প্রমাণ করে।