ক্যান্সার চিকিৎসার সফল সমাপ্তির পর রাজকুমারী কেট, প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তার সুস্থতার কথা ঘোষণা করেন। তিনি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেমোথেরাপি শেষ করেন এবং তারপর থেকে ধীরে ধীরে তার রাজকীয় কার্যক্রমে ফিরে আসছেন। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে, রাজকুমারী কেট লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে যান, যেখানে তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা করিয়েছিলেন। এই পরিদর্শনের সময় তিনি হাসপাতালের সুস্থতা বাগানে 'ক্যাথরিনের গোলাপ' নামে একটি বিশেষ গোলাপ গাছ রোপণ করেন। এই গোলাপ গাছটি তার নামে নামকরণ করা হয়েছে এবং এটি প্রকৃতির নিরাময় ক্ষমতাকে তুলে ধরে। এই গোলাপ গাছ বিক্রির অর্থ রয়্যাল মার্সডেন ক্যান্সার চ্যারিটিকে দান করা হবে, যা রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদানে সাহায্য করবে।
কেট তার সুস্থতাকে একটি 'রোলারকোস্টার'-এর সাথে তুলনা করেছেন এবং এই সময়ে সম্প্রদায়ের সমর্থনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। যদিও তিনি রাজকীয় দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন, ২০২৫ সালে তিনি তার স্বাস্থ্য এবং পরিবারের উপর বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য একটি হালকা সময়সূচী বজায় রাখছেন। প্রিন্স উইলিয়াম তার রাজকীয় অনুষ্ঠানে আরও বেশি অংশগ্রহণ এবং ভবিষ্যতের যৌথ ভ্রমণের আশা প্রকাশ করেছেন। রাজকুমারী কেট তার সুস্থতার যাত্রাকে একটি 'রোলারকোস্টার'-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা বোঝায় যে এই পথটি মসৃণ ছিল না, বরং উত্থান-পতনে ভরা ছিল। তিনি উল্লেখ করেছেন যে চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর অনেকেই মনে করেন যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছেন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এই সময়কালে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সহায়তা অত্যন্ত মূল্যবান। কেট এই ধরনের সহায়তা ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যা অনেক সম্প্রদায়ের জন্য একটি আদর্শ হতে পারে। রাজকীয় দায়িত্ব পালনে ফেরার পর, কেট তার স্বাস্থ্য এবং পরিবারের প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছেন। তার রাজকীয় কার্যক্রমে একটি নতুন ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন। প্রিন্স উইলিয়ামও তার স্ত্রীর এই নতুন অধ্যায়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তারা একসাথে ভবিষ্যৎ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। এই সময়কালে, রাজকুমারী কেট তার কাজের মাধ্যমে প্রকৃতি ও সুস্থতার মেলবন্ধনের উপর জোর দিচ্ছেন, যা তার ব্যক্তিগত সুস্থতার যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।