অভিনেতা কিয়ানু রিভস, ৬১, এবং শিল্পী আলেকজান্দ্রা গ্রান্ট, ৫২, সম্প্রতি ইউরোপে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলে জানা গেছে। এই অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানটি ২০২৫ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবার উপস্থিত ছিল। সূত্রমতে, দম্পতি বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাহের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন, যেখানে গ্রান্ট এই মুহূর্তটিকে ব্যক্তিগত এবং বিশেষ করে তুলতে চেয়েছিলেন।
রিভস এবং গ্রান্ট প্রথম ২০০৯ সালে পরিচিত হন এবং "ওড টু হ্যাপিনেস" বইটি নিয়ে কাজ করেন। তারা ২০১৯ সালে জনসমক্ষে তাদের সম্পর্কের কথা নিশ্চিত করেন। গ্রান্ট রিভসের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, বিশেষ করে তার ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডিগুলির পরে। তার সমর্থন তাকে জীবনের কঠিন সময়গুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। দম্পতি তাদের ভাগ করা শৈল্পিক আগ্রহ এবং মাঝে মাঝে জনসমক্ষে উপস্থিতির জন্য পরিচিত। তাদের ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত তাদের সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা বজায় রাখার ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। এই গোপনীয়তা তাদের ব্যক্তিগত মাইলফলকগুলিকে জনসাধারণের নজর থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
রিভস পূর্বে জেনিফার সাইমের সাথে বিবাহিত ছিলেন, যার জীবন ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে তাদের সন্তানের জন্মের পর মর্মান্তিকভাবে শেষ হয়েছিল। সাইম ২০০১ সালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। দুই বছরের বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার পর, রিভস এবং গ্রান্ট তাদের অঙ্গীকারকে বিবাহের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন।
আলেকজান্দ্রা গ্রান্ট একজন আমেরিকান ভিজ্যুয়াল শিল্পী যিনি তার চিত্রকর্ম, অঙ্কন, ভাস্কর্য, ভিডিও এবং অন্যান্য মাধ্যমের মাধ্যমে ভাষা এবং লিখিত পাঠ্য পরীক্ষা করেন। তিনি প্রায়শই লেখক মাইকেল জয়স, অভিনেতা কিয়ানু রিভস এবং দার্শনিক হেলেন সিক্সোসের মতো অন্যদের সাথে সহযোগিতা করেন। গ্রান্ট X Artists' Books-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা, যা শিল্প-কেন্দ্রিক বই প্রকাশ করে। রিভস এবং গ্রান্টের সম্পর্কটি তাদের শৈল্পিক কাজের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে, যা তাদের মধ্যে একটি গভীর বন্ধন তৈরি করেছে। তাদের প্রথম যৌথ প্রকল্প ছিল ২০১১ সালের "ওড টু হ্যাপিনেস" বইটি, যেখানে গ্রান্ট চিত্রাঙ্কন করেছিলেন এবং রিভস লিখেছিলেন। ২০১৭ সালে, তারা একসাথে X Artists' Books নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
তাদের সম্পর্কটি প্রায়শই ব্যক্তিগত রাখা হয়, তবে তারা মাঝে মাঝে জনসমক্ষে একসাথে উপস্থিত হয়েছেন, যেমন ২০১৯ সালে LACMA Art + Film Gala-তে। এই অনুষ্ঠানে তারা হাত ধরে হেঁটেছিলেন, যা তাদের সম্পর্কের গুজবকে আরও বাড়িয়ে তোলে। রিভস এবং গ্রান্টের এই বন্ধন তাদের উভয়ের জীবনেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। একজন সূত্রমতে, গ্রান্ট রিভসের জীবনে স্থিতিশীলতা এনেছেন এবং তাকে অতীতের দুঃখ থেকে নিরাময় করতে সাহায্য করেছেন। রিভস নিজেও গ্রান্টের কাজের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এবং তার বিচার-বুদ্ধির উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখেন। এই গোপনীয়তা এবং অন্তরঙ্গতা তাদের সম্পর্কের একটি বিশেষ দিক, যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাকেই তুলে ধরে।