জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা জাস্টিন টিম্বারলেক সম্প্রতি লাইম রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি ২০২৫ সালের জুলাই মাসে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই তথ্য প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি জানান যে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর তার এই রোগ নির্ণয় করা হয়েছে। টিম্বারলেক স্পষ্ট করেছেন যে তিনি সহানুভূতি চান না, বরং পর্দার আড়ালে তার লড়াইয়ের একটি চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি এই অসুস্থতাকে "মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে অত্যন্ত ক্লান্তিকর" বলে বর্ণনা করেছেন।
রোগ নির্ণয় সত্ত্বেও, টিম্বারলেক বিশ্বজুড়ে তার সংগীত সফর চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি মনে করেন যে গান গাওয়ার আনন্দ শারীরিক কষ্টের চেয়ে অনেক বেশি। এই কঠিন সময়ে তার স্ত্রী, অভিনেত্রী জেসিকা বিয়েল, তার জন্য এক বিরাট সমর্থনের উৎস হয়ে উঠেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে যে তিনি তাকে মানসিকভাবে প্রচুর সমর্থন দিচ্ছেন এবং পরিবারটি এখন একে অপরের সাথে কাটানো সময়কে আরও বেশি মূল্যবান মনে করছে।
লাইম রোগ, যা মূলত টিক বা এঁটেল পোকার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়, তা প্রায়শই ক্লান্তি, জ্বর, পেশী ব্যথা এবং একটি নির্দিষ্ট 'আই-বুল' (bull's-eye) আকারের ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে এটি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন জয়েন্টে ব্যথা, স্নায়বিক সমস্যা এবং হৃদরোগ। টিম্বারলেকের মতো শিল্পীদের জন্য, যারা মঞ্চে পারফর্ম করেন, এই রোগটি বিশেষভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। শানিয়া টোয়াইন এবং অ্যাভ্রিল ল্যাভিনও লাইম রোগের সাথে লড়াই করেছেন, যা তাদের কর্মজীবনেও প্রভাব ফেলেছিল।
টিম্বারলেকের এই প্রকাশনাটি তার ভক্তদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। তিনি তার এই কঠিন সময়ে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রেখেছেন এবং ভক্তদের সাথে বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করেছেন। তার এই অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, যারা একই ধরনের স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি তার এই রোগ সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করে অন্যদেরও তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে উৎসাহিত করেছেন।