সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে প্রদাহজনক পেটের রোগ (IBD), হৃদরোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমতে পারে । তবে, অস্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে এই রোগগুলোর ঝুঁকি বাড়তে পারে ।
যুক্তরাজ্যের ১,৪৩,০০০ জনের বেশি ব্যক্তির উপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে আলসারেটিভ কোলাইটিসের ঝুঁকি ৮% এবং ক্রোনস ডিজিজের ঝুঁকি ১৪% পর্যন্ত হ্রাস পায় । এই গবেষণায় ফল এবং সবজিকে সুরক্ষা প্রদানকারী উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
অন্যদিকে, একটি অস্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস, যাতে পরিশোধিত শস্য, মিষ্টি পানীয় এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি থাকে, তা গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে ।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, শস্য এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত । এই খাবারগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর, যা শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে ।
এছাড়াও, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব । বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস ওজন কমাতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ।
তবে, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণের ক্ষেত্রে খাদ্য উপাদান নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত চর্বি, চিনি এবং লবণযুক্ত খাবার পরিহার করে প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে হবে ।
healthy plant-based diet গ্রহণ করে শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখা সম্ভব।