বিশ্বজুড়ে কম্বুচার জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যকর পানীয়ের প্রতি ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রতিফলন। এই গাঁজন করা চা পানীয়টি বিভিন্ন খুচরা দোকানে সহজলভ্য হওয়ায় প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর পানীয়ের দিকে ভোক্তাদের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কম্বুচা, যা মিষ্টি চা এবং একটি SCOBY (Symbiotic Colony of Bacteria and Yeast) দিয়ে তৈরি একটি গাঁজন করা পানীয়, প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে হজম স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
বিশ্বব্যাপী কম্বুচার বাজার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী কম্বুচার বাজারের আকার ছিল প্রায় ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশা করা হচ্ছে, ২০৩৩ সাল নাগাদ এটি ১৭.৭% বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়ে ১১.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকা এই বাজারের বৃহত্তম অংশীদার, যা মূলত স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার প্রতি ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান মনোযোগের কারণে চালিত হচ্ছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলও দ্রুত বর্ধনশীল, যেখানে স্বাস্থ্য-সচেতনতা এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে কম্বুচার চাহিদা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে কম্বুচা পরিমিত পরিমাণে সেবন করা উচিত। সাধারণত, দিনে ৪ আউন্স থেকে ১২ আউন্স পর্যন্ত গ্রহণ করা নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে, নতুন ব্যবহারকারীদের অল্প পরিমাণে শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে শরীর এর সাথে মানিয়ে নিতে পারে। গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, শিশু এবং নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের কম্বুচা এড়িয়ে চলা উচিত। কম্বুচার এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতি মানুষের আগ্রহের একটি বড় প্রমাণ, যা এটিকে কেবল একটি পানীয় নয়, বরং সুস্থতার একটি প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।