প্রাক্তন পেশী-নির্মাণকারী তারকা এবং বর্তমান ফিটনেস গুরু আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার তাঁর সুস্বাস্থ্যের রহস্য হিসেবে উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাসের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে কলার উপকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন, কারণ এতে থাকা পটাশিয়াম হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শোয়ার্জনেগার তাঁর খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি এবং শস্য অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন, যা সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
শোয়ার্জনেগার একটি নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করার কথা বলেছেন, যা তাঁর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করেছে। তিনি এমনও বলেছেন যে তাঁর কোলেস্টেরলের মাত্রা এতটাই কম ছিল যে তাঁর ডাক্তার এর নির্ভুলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস শুধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেই সহায়ক নয়, বরং এটি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
তবে, শোয়ার্জনেগার সম্পূর্ণ নিরামিষাশী নন। তিনি তাঁর খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডিম, স্যামন, মুরগি এবং মটরশুঁটি থেকে তৈরি প্রোটিন পাউডারের মতো উৎসগুলিও অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও, তিনি শিম বা ডাল জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি নিরামিষ বার্গারও গ্রহণ করেন, যা স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু বিকল্প প্রদান করে।
শোয়ার্জনেগারের এই খাদ্যাভ্যাস বিশ্বজুড়ে অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। বিভিন্ন গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য গ্রহণ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত ফল এবং সবজি খান, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২০% কম থাকে। এছাড়াও, নিরামিষ খাদ্য গ্রহণ পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, কারণ এটি গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ এবং জল ব্যবহারে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। শোয়ার্জনেগারের এই জীবনধারা প্রমাণ করে যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কেবল ব্যক্তিগত সুস্থতাই বাড়ায় না, বরং একটি সুস্থ পৃথিবী গড়তেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।