এখানে একটি সহজ অথচ সুস্বাদু চিকেন কারির রেসিপি দেওয়া হলো, যা দ্রুত প্রস্তুত করা যায় এবং এতে মশলার একটি চমৎকার মিশ্রণ রয়েছে। এটি তৈরি করাও বেশ সহজ।
উপকরণ:
মুরগি - ৫০০ গ্রাম (টুকরা করা)
পেঁয়াজ - ২টি (কুচি করা)
টমেটো - ৩টি (কুচি করা)
আলু - ১/৪ কাপ (ছোট টুকরা)
কারি পাতা - এক চিমটি
হলুদ গুঁড়া - পরিমাণমতো
গরম মশলা - পরিমাণমতো
লবণ - ১ টেবিল চামচ
ধনে পাতা - এক চিমটি
তেল - ১ টেবিল চামচ
পানি - ১/৪ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে একটি প্যানে তেল গরম করে মুরগির টুকরাগুলো সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর কুচি করা কারি পাতা এবং দুটি কুচি করা পেঁয়াজ দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
এরপর কুচি করা টমেটো মিশিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। আলু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি আলাদা বাটিতে কারি পাউডার, গরম মশলা, হলুদ গুঁড়া এবং লবণ মিশিয়ে এই মশলার মিশ্রণটি প্যানে যোগ করুন।
প্যানে পেঁয়াজ ও টমেটোর মিশ্রণটি রান্না করুন, তারপর পানি এবং লবণ যোগ করুন। সবকিছু একসাথে মিশিয়ে একটি কারি তৈরি করুন। সবশেষে কুচি করা ধনে পাতা যোগ করুন এবং কারি ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
এই চিকেন কারিটি বাড়ির রান্নার সরলতা এবং সুস্বাদুতার এক চমৎকার উদাহরণ। এটি তৈরি করে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের পরিবেশন করতে পারেন।
চিকেন কারি কেবল একটি মুখরোচক খাবারই নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হতে পারে। মুরগি প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা পেশী গঠনে এবং শরীরকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। কারিতে ব্যবহৃত মশলা যেমন হলুদ, আদা, রসুন এবং জিরায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদের কারকিউমিন নামক উপাদানটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। এছাড়াও, টমেটো, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য সবজি ভিটামিন সি, এ এবং পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করতে হলে অতিরিক্ত তেল, ক্রিম বা নারকেল দুধের ব্যবহার সীমিত রাখা উচিত। মশলার সঠিক ব্যবহার কারির স্বাদ ও পুষ্টিগুণ উভয়ই বৃদ্ধি করে। মশলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি হজমেও সাহায্য করে এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।