হায়াত রিজেন্সি কিনাবালুর অক্সটেল আসাম পেডাস পেল দীর্ঘতম পরিবেশিত খাবারের স্বীকৃতি

সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova

মালয়েশিয়ার দ্য মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেছে হায়াত রিজেন্সি কিনাবালুর অক্সটেল আসাম পেডাস পদটি। এই সম্মাননা পদটিকে একটি হোটেলের রেস্তোরাঁয় সর্বাধিক সময় ধরে পরিবেশিত সিগনেচার ডিশ হিসেবে চিহ্নিত করে, যা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অতিথিদের রসনা তৃপ্ত করে আসছে। এই দীর্ঘস্থায়ী স্বীকৃতি সাবা প্রদেশের সমৃদ্ধ রন্ধনশিল্পের ঐতিহ্য সংরক্ষণের একটি দৃষ্টান্ত।

এই বিশেষ পদটি তার খাঁটি টক-ঝাল ঝোল এবং অত্যন্ত নরম অক্সটেলের জন্য বিখ্যাত, যা স্থানীয় রন্ধনশৈলীর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। হোটেলটি পূর্বে কিনাবালু ইন্টারন্যাশনাল হোটেল নামে পরিচিত ছিল এবং ১৯৭৭ সালের ১১ই মে তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী ডঃ মাহাথির মোহাম্মদ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে এটি হায়াত হোটেল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সাথে চুক্তির মাধ্যমে হায়াত রিজেন্সি কিনাবালু নামে পরিচিতি লাভ করে। এই চার দশকে হোটেলটি ২৮৮টি প্রশস্ত অতিথি কক্ষ এবং তাঞ্জুং রিয়া কিচেনসহ বিভিন্ন অংশের সংস্কার করেছে, যা সেবার মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

অক্সটেল আসাম পেডাস মূলত ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রা অঞ্চলের একটি পদ, যা মালয়েশিয়ার রন্ধন ঐতিহ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। 'আসাম' শব্দের অর্থ টক এবং 'পেডাস' অর্থ ঝাল, যা এই খাবারের মূল স্বাদ নির্দেশ করে। ঐতিহ্যগতভাবে মাছ দিয়ে তৈরি হলেও, সাবা অঞ্চলে এর অক্সটেল সংস্করণটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। প্রয়াত উপ-প্রধানমন্ত্রী তুন গাফার বাবা রাজ্য সফরে এলে এই পদটি প্রচুর পরিমাণে 'তা পাউ' (প্যাকেট করে নিয়ে যাওয়া) করতেন, যা ফেডারেল ক্যাবিনেটের মন্ত্রীদের মধ্যেও এর সমাদরের প্রমাণ দেয়।

এই আইকনিক পদটির স্রষ্টা শেফ সাপিয়ি আহমদ আবদুল্লাহ, যিনি সত্তরের দশক থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে হায়াতের রান্নাঘরে এটি তৈরি করেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালে হোটেল থেকে পদত্যাগ করে পারিবারিক ক্যাটারিং ব্যবসায় মনোযোগ দেন। শেফ সাপিয়ি তার দক্ষতা পুত্র জুলহেলমির কাছে হস্তান্তর করেছেন, যিনি বর্তমানে নতুন রেস্তোরাঁটির রান্নাঘরের দায়িত্বে রয়েছেন। এই উত্তরাধিকার হস্তান্তর সাবা অঞ্চলের রন্ধনশিল্পের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করছে।

দ্য মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস, যা ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত, এই ধরনের সাংস্কৃতিক অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়। হায়াত রিজেন্সি কিনাবালু এই স্বীকৃতির মাধ্যমে শুধুমাত্র খাবারের গুণগত মান নয়, বরং সাবা প্রদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং রন্ধনশিল্পের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধাও প্রদর্শন করেছে। পদটি তার সুগন্ধি ঝোল, তেঁতুলের টক এবং মশলার নিখুঁত মিশ্রণের জন্য পরিচিত এবং এটি সাবা অঞ্চলের খাদ্য সংস্কৃতিতে একটি স্থায়ী ছাপ ফেলেছে।

উৎসসমূহ

  • Borneo Post Online

  • Tanjung Ria Kitchen at Hyatt Regency Kinabalu

  • Tanjung Ria Kitchen at Hyatt Regency Kinabalu

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।