ইউজিন গ্রীনের চলচ্চিত্র 'দ্য ট্রি অফ নলেজ' সম্প্রতি টেক্সাসের ফ্যান্টাস্টিক ফেস্টে বিশ্ব মঞ্চে আত্মপ্রকাশের পর প্রদর্শিত হয়েছে। এই ফরাসি-পর্তুগিজ সহ-প্রযোজনাটি পর্তুগালের গণ পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলির উপর একটি রূপকধর্মী সমালোচনা উপস্থাপন করে। প্রধান অভিনেতা রুই পেদ্রো সিলভা আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ভাষার প্রতিনিধিত্ব শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এবং পর্তুগালের সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।
চলচ্চিত্রটিতে গ্যাসপার নামক এক কিশোরের গল্প বলা হয়েছে, যাকে ওগ্রে নামক এক রহস্যময় চরিত্র ব্যবহার করে পর্যটকদের পশুতে রূপান্তরিত করে। এই কাহিনি প্রেম, যত্ন এবং সাধারণীকরণের বিপদগুলির মতো বিষয়গুলি অন্বেষণ করে। সিনেমাটোগ্রাফির ক্ষেত্রে, অভিনেতারা সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলেন, যা একটি অদ্ভুত এবং হাস্যরসাত্মক পরিবেশ তৈরি করে। রানী মারিয়া প্রথমের একটি দৃশ্য পর্তুগালের ঐতিহাসিক 'ভূতের' একটি রূপক হিসাবে কাজ করে।
ফ্যান্টাস্টিক ফেস্টে প্রদর্শনের পর, 'দ্য ট্রি অফ নলেজ' ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে ডকলিসবোয়া উৎসবের ২৩তম সংস্করণের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হিসেবে প্রদর্শিত হবে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পর্তুগিজ সিনেমার ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী প্রভাব এবং স্থানীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বজনীন বিষয়গুলি মোকাবেলার ক্ষমতাকে তুলে ধরে। রুই পেদ্রো সিলভা, যিনি গ্যাসপারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, তিনি এই সিনেমার মাধ্যমে পর্তুগিজ সংস্কৃতির একটি নতুন দিক তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পর্তুগিজ সিনেমা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চলচ্চিত্রটি কেবল পর্তুগালের পর্যটন শিল্পের উপরই আলোকপাত করে না, বরং এটি দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকেও অন্বেষণ করে। ইউজিন গ্রীনের এই চলচ্চিত্রটি পর্তুগিজ সিনেমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং বিশ্ব মঞ্চে এর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি প্রমাণ। এই সিনেমাটি পর্তুগিজ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা তাদের আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে আরও বেশি পরিচিতি এনে দেবে।