ওড়িশায় গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত করছে NHRC

সম্পাদনা করেছেন: Dmitry Drozd

ওড়িশার একজন ২০ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রীর কথিত গণধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মিডিয়া রিপোর্টের তদন্ত শুরু করেছে NHRC। ঘটনাটি গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে ঘটেছে বলে জানা গেছে, যেখানে প্রায় ১০ জন পুরুষ জড়িত ছিল। NHRC স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নিয়েছে, যা অভিযোগের দ্বারা উত্থাপিত গুরুতর মানবাধিকার উদ্বেগগুলিকে তুলে ধরে। (সূত্র: মিডিয়া রিপোর্ট) ভুক্তভোগী তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিল, সেই সময় এই হামলা হয়। অভিযুক্তরা তার বন্ধুকে পরাস্ত করে এই অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ। NHRC ওড়িশার মুখ্য সচিব এবং পুলিশ মহাপরিচালককে নোটিশ জারি করেছে। তারা দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন চাইছে, যার মধ্যে তদন্তের অবস্থা এবং ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিবেদনে রাজ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া ক্ষতিপূরণ বা কাউন্সেলিংয়ের বিস্তারিত বিবরণও আশা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীর এমকেসিজি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বেরহামপুরে চিকিৎসা পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সাত জনকে আটক করেছে। ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভক্ত চরণ দাস রাজ্য সরকারের এই মামলার handling-এর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ওড়িশায় মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ একটি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। দাস যৌন অপরাধ বৃদ্ধিকে দুর্বল শাসন এবং মহিলাদের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বের অভাবের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। NHRC-এর হস্তক্ষেপ পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। এটি এই ধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মোকাবিলায় দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। তদন্তের লক্ষ্য হল এই উদ্বেগজনক অভিযোগের পরে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

উৎসসমূহ

  • India Gazette

  • India Today

  • India Today

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।