নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিম্ন-তাপমাত্রার প্লাজমা ব্যবহারের পথিকৃৎ। প্লাজমা, যাকে প্রায়শই পদার্থের চতুর্থ অবস্থা বলা হয়, তা টেকসই কৃষি, উন্নত জল পরিশোধন এবং উদ্ভাবনী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষিতে, প্লাজমা প্রযুক্তি নাইট্রোজেন সারের উৎপাদনের জন্য হ্যাবার-বশ পদ্ধতির একটি বিকেন্দ্রীকৃত এবং দক্ষ বিকল্প সরবরাহ করে। ক্ষুদ্র বিদ্যুতের মতো বৈদ্যুতিক নিঃসরণ তৈরি করে, বাতাসের নাইট্রোজেনকে উদ্ভিদের ব্যবহারের উপযোগী রূপে রূপান্তরিত করা হয়, যা পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করে এবং সারের সহজলভ্যতা উন্নত করে। প্লাজমা-চিকিৎসা করা জল হাইড্রোপনিক সিস্টেমে জীবাণুনাশক এবং শৈবাল অপসারণকারী হিসাবেও কাজ করতে পারে, যা উদ্ভিদের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে। জল পরিশোধনে, নিম্ন-তাপমাত্রার প্লাজমা দূষিত জলের উৎস থেকে পার- এবং পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল পদার্থ (পিএফএএস) অপসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা "চিরকালের রাসায়নিক" হিসাবে পরিচিত। এই পদ্ধতি পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থ্যে পিএফএএস-এর সঞ্চয় সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের একটি সম্ভাব্য সমাধান সরবরাহ করে। এছাড়াও, প্লাজমা প্রযুক্তি চিকিৎসাবিদ্যায় দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত এবং ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে, প্রাথমিক গবেষণায় ক্যান্সারের চিকিৎসার একটি নতুন কৌশল হিসাবে সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এই অগ্রগতিগুলি প্লাজমা বিজ্ঞানকে একটি বহুমুখী সরঞ্জাম হিসাবে তুলে ধরে, যা জরুরি বৈশ্বিক সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা রাখে।
কৃষি, জল পরিশোধন এবং চিকিৎসাবিদ্যায় বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্লাজমা বিজ্ঞানের অগ্রগতি
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।