সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সিস্টিন নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের চর্বি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমেরিকান গবেষকদের একটি দল আবিষ্কার করেছে যে সিস্টিনের মাত্রা কম থাকলে তা মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করে এবং ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ নির্বিশেষে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল হাইপোক্যালোরিক ডায়েট কেন শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে তা বোঝা। বিজ্ঞানীরা সিস্টিনের উপর মনোযোগ দিয়েছিলেন কারণ পূর্ববর্তী তথ্য ইতিমধ্যেই এটিকে মেটাবলিজমের সাথে যুক্ত করেছিল, তবে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না।
নতুন ফলাফলগুলি নির্দেশ করে যে সিস্টিনের মাত্রা কম থাকলে তা সাদা চর্বিকে (যা সঞ্চিত থাকে) বাদামী চর্বিতে রূপান্তরিত করতে উৎসাহিত করে। বাদামী চর্বি শক্তি পোড়াতে এবং তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম। এই প্রক্রিয়াটি শরীরের স্বাভাবিক চর্বি পোড়ানোর শক্তি ব্যয়ের জন্য মৌলিক বলে মনে করা হয়। ইঁদুরের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, যে ইঁদুরগুলি সিস্টিন তৈরি করতে অক্ষম ছিল তাদের ওজন এক সপ্তাহে ২৫-৩০% কমে গিয়েছিল যখন তাদের ডায়েটে নির্দিষ্ট মাত্রায় সিস্টিন বজায় রাখা হয়েছিল। এছাড়াও, ওজন কমানোর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী ২৩৮ জন ব্যক্তির ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে তাদের চর্বি টিস্যুতে সিস্টিনের মাত্রা কম ছিল, যা এই সম্ভাব্য সংযোগকে আরও শক্তিশালী করে।
যদিও ফলাফলগুলি চিত্তাকর্ষক, গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে সিস্টিন অক্সিডেটিভ ভারসাম্য বজায় রাখার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অপরিহার্য। এর অতিরিক্ত হ্রাস বিপজ্জনক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। পরীক্ষামূলক বিষয়গুলিতে স্বতঃস্ফূর্ত ওজন হ্রাস মানুষের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত হয় না যতক্ষণ না আরও গবেষণা করা হয়। পেনিংটন বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার ক্রিশ্চিয়ান স্ট্যান্টলারের মতে, এই তথ্যগুলি শুধুমাত্র ক্যালোরি গ্রহণ কমানোর উপর নির্ভর না করে মেটাবলিক নিয়ন্ত্রণের নতুন কৌশলগুলির দরজা খুলে দিয়েছে।
গবেষণাটি নেচার মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা ডায়েট এবং মেটাবলিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই আবিষ্কারগুলি ওজন ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে, যা শুধুমাত্র ক্যালোরি গ্রহণের উপর নির্ভর করে না। যারা সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এজিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় 'বিজ্ঞান শিক্ষা – নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সহ শিক্ষা' স্নাতক প্রোগ্রাম অফার করে। এই প্রোগ্রামটি ২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু আছে এবং এটি বিজ্ঞান শিক্ষার উপর জোর দেয়, বিশেষ করে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার উপর।