সাম্প্রতিক জিনগত বিশ্লেষণ ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত দুটি সপ্তম শতাব্দীর অ্যাংলো-স্যাক্সন সমাধিস্থলের দেহাবশেষ থেকে অপ্রত্যাশিত পশ্চিম আফ্রিকার বংশোদ্ভূতদের উপস্থিতি উন্মোচন করেছে। এই আবিষ্কার প্রাথমিক মধ্যযুগীয় অভিবাসন এবং জনসংখ্যার গঠন সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে, যা একটি জটিল এবং বহুসংস্কৃতির সমাজের ইঙ্গিত দেয়। কেন্টের আপডাউন সমাধিস্থলে, সপ্তম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে সমাহিত এক কিশোরীর দেহাবশেষে ২০% থেকে ৪০% সাব-সাহারান আফ্রিকান বংশোদ্ভূত পাওয়া গেছে। তার অটোজোমাল ডিএনএ বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকার জনগোষ্ঠীর সাথে সাদৃশ্য নির্দেশ করে, যা এই অঞ্চলে একজন পূর্বপুরুষের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। তার সমাধিতে পাওয়া ছুরি এবং সজ্জিত পাত্রের মতো জিনিসপত্র মহাদেশীয় ইউরোপের সাথে তার সংযোগের ইঙ্গিত দেয়। একইভাবে, ডরসেটের ওর্থ ম্যাট্রাভার্স সমাধিস্থলে একটি দ্বৈত কবর থেকে প্রাপ্ত এক কিশোর পুরুষের দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণেও ২০% থেকে ৪০% পশ্চিম আফ্রিকার বংশোদ্ভূত পাওয়া গেছে। এটিও একজন সাম্প্রতিক আফ্রিকান পূর্বপুরুষের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়, সম্ভবত দাদামশাই বা দাদীমা। এই কবরটি সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের বলে জানা গেছে।
এই ফলাফলগুলি প্রাথমিক মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ড কেবল উত্তর ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল এমন দীর্ঘদিনের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পশ্চিম আফ্রিকান ঐতিহ্যের ব্যক্তিদের উপস্থিতি দীর্ঘ দূরত্বের চলাচল এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের একটি বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরে, যা একটি বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর ইঙ্গিত দেয় যারা তৎকালীন দৈনন্দিন জীবনের সাথে একীভূত ছিল। এই আবিষ্কারগুলি প্রাথমিক মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের বহুসংস্কৃতির প্রকৃতিকে বিশেষভাবে তুলে ধরে। তারা দূরবর্তী অঞ্চলের সাথে সংযোগের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ইঙ্গিত দেয়, যারা সমাজের মূল স্রোতের সাথে একীভূত ছিল। এই ব্যক্তিদের পারিবারিক সংযোগগুলিও তাদের সামাজিক অবস্থানের উপর আলোকপাত করে; আপডাউন সমাধিস্থলে প্রাপ্ত কিশোরীর আত্মীয়দের মধ্যে কেউ কেউ উত্তর ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত ছিল, যা এই মিশ্র ঐতিহ্যের উৎসকে আরও স্পষ্ট করে। ওর্থ ম্যাট্রাভার্সে প্রাপ্ত ব্যক্তির সমাহিত হওয়ার ধরণও তার সম্প্রদায়ের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতার ইঙ্গিত দেয়। এই আবিষ্কারগুলি সেই সময়ের অভিবাসন এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের জটিলতাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।