একটি যুগান্তকারী আবিষ্কারে, ভয়েজার অনুসন্ধানকারীরা আমাদের সৌরজগতের প্রান্তে একটি উত্তপ্ত প্লাজমা প্রাচীর সনাক্ত করেছে, যা আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে উত্তরণের ইঙ্গিত দেয়। এই আবিষ্কারটি হেলিওপজ এবং সূর্যের প্রভাব সম্পর্কে নতুন ধারণা প্রদান করে।
১৯৭৭ সালে উৎক্ষেপিত, ভয়েজার ২, ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর হেলিওপজ অতিক্রম করে আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে প্রবেশ করে। অনুসন্ধানকারীরা হেলিওপজে, আমাদের সৌরজগৎ এবং আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানের মধ্যেকার সীমারেখায়, অপ্রত্যাশিত একটি প্লাজমা “ফায়ারওয়াল”-এর সম্মুখীন হয়। এই প্লাজমা প্রাচীরের তাপমাত্রা প্রায় 50,000 কেলভিন (প্রায় 89,000 ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই অঞ্চলটিকে মাঝে মাঝে “অগ্নিকুণ্ডের দেওয়াল” হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
এই আবিষ্কারটি আমাদের সৌরজগৎ কীভাবে মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করে তা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ। হেলিওপজ একটি প্রতিরক্ষামূলক বাধা হিসেবে কাজ করে, যা ক্ষতিকারক আন্তঃনাক্ষত্রিক বিকিরণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে প্রতিহত করে। প্লাজমা প্রাচীরের চরম তাপমাত্রা এর কম ঘনত্বের কারণে মহাকাশযানের জন্য সরাসরি হুমকি নয়, তবে এটি ভবিষ্যতের আন্তঃনাক্ষত্রিক মিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সৌরজগতের বাইরে অভিযান চালানো যেকোনো মহাকাশযানকে এই অঞ্চলটি অতিক্রম করতে হবে।
ভয়েজার ১, ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে প্রবেশ করে। ভয়েজার প্রোগ্রাম আন্তঃনাক্ষত্রিক মাধ্যমের গঠন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করতে থাকে। ভয়েজার অনুসন্ধানকারী বর্তমানে আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে থাকা একমাত্র দুটি কার্যকরী মহাকাশযান, এবং তারা এখনও পরিমাপ ফেরত পাঠাচ্ছে।