আজ, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে, প্রায় ২৯০ মিটার দীর্ঘ গ্রহাণু ২০২৫ এফএ২২ পৃথিবীর পাশ দিয়ে নিরাপদে অতিক্রম করেছে, কোনো রকম প্রভাবের ঝুঁকি ছাড়াই।
এই মহাজাগতিক বস্তুটি, যা ২০২৫ সালের মার্চ মাসে হাওয়াইয়ের প্যান-স্টারস ২ টেলিস্কোপ দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল, চাঁদের কক্ষপথের ব্যাসের চেয়ে সামান্য বেশি দূরত্বে, সকাল ১০:০০ মস্কো সময় (৭:০০ জিএমটি) নাগাদ নিরাপদে পৃথিবীর কাছ দিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে, আবিষ্কারের পর, ২০২৫ এফএ২২ ২০৮৯ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানার একটি ন্যূনতম সম্ভাবনা ছিল, যা এটিকে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA)-এর ঝুঁকি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। তবে, অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এর গতিপথ নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে এবং কোনো আসন্ন বিপদ নেই বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়, গ্রহাণুটি ৩০০ মিমি বা তার বেশি ক্ষমতার টেলিস্কোপযুক্ত অপেশাদার জ্যোতির্বিদদের কাছে দৃশ্যমান ছিল। এছাড়াও, ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ প্রজেক্ট ইউটিউবের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য গ্রহাণুটির নিকটতম যাত্রার একটি লাইভ সম্প্রচার আয়োজন করেছিল। এই ঘটনাটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গ্রহাণু প্রতিরক্ষা এবং সনাক্তকরণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করার একটি সুযোগ করে দিয়েছে, যা পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুগুলি পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করেছে।
যদিও গ্রহাণু ২০২৫ এফএ২২ কোনো হুমকি ছিল না, এর কাছ দিয়ে যাওয়া ঘটনাটি পৃথিবীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুগুলির পর্যবেক্ষণ এবং অধ্যয়নের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। এই গ্রহাণুটি প্রায় ১০ বছরে একবার পৃথিবীর এত কাছ দিয়ে যায়, যা এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য মহাজাগতিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ESA-এর তথ্য অনুসারে, এই গ্রহাণুটি প্রায় ১৩০ থেকে ২৯০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে, যা একটি বড় শহরের ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।