পানামার স্মিথসোনিয়ান ট্রপিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (STRI) দ্বারা পরিচালিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে Pocillopora প্রবালের মাইক্রোবায়োম তাপীয় চাপ সহ্য করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জুন ২০২৫-এ কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি পানামার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের প্রবালগুলির উপর আলোকপাত করেছে। বিশেষভাবে, পানামা উপসাগরে আপওয়েলিং-এর সংস্পর্শে আসা প্রবালগুলি তাদের মাইক্রোবায়োমের সহায়তায় উচ্চতর তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম হয়েছে। এই গবেষণাটি প্রবালের সম্পূর্ণ হোলobiont-কে পরীক্ষা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রবাল, এর সিম্বায়োটিক শৈবাল এবং ব্যাকটেরিয়া। এটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রবালের তাপ সহনশীলতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
পানামা উপসাগরের পরিবেশ, যা আপওয়েলিং দ্বারা চিহ্নিত, ঠান্ডা জল এবং পুষ্টির সরবরাহ করে। এই আপওয়েলিং পরিবেশগত অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়, যা প্রবালগুলির সহনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। এই অঞ্চলের প্রবালগুলি প্রায়শই তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন এবং ওঠানামার সম্মুখীন হয়, যা তাদের আরও শক্তিশালী করে তোলে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রবালের সহনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রবাল-হোস্ট-মাইক্রোবায়োম মিথস্ক্রিয়া বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা এমন প্রবাল জনগোষ্ঠী সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন যা সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং কিভাবে উপকারী বৈশিষ্ট্যগুলি উন্নত করা যায় তা অন্বেষণ করছেন। এই গবেষণাটি জলবায়ু-প্ররোচিত চাপ মোকাবেলায় প্রবাল মাইক্রোবায়োমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছে এবং সংরক্ষণের নতুন কৌশলগুলির পথ খুলে দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পানামা উপসাগরের প্রবালগুলি, যেখানে জলের তাপমাত্রার ওঠানামা বেশি, তারা উপসাগরের পশ্চিমের উপসাগরের তুলনায় বেশি তাপ সহনশীল। এই ভিন্নতা শুধুমাত্র জিনের উপর নির্ভর করে না, বরং পরিবেশগত প্রেক্ষাপটের উপরও নির্ভর করে। যদিও উভয় অঞ্চলের প্রবালগুলির জিনগত মিল রয়েছে, পানামা উপসাগরের প্রবালগুলি উচ্চ তাপমাত্রায় তাদের প্রোটিন স্তর বজায় রাখতে এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধ করতে বেশি সক্ষম। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, যে প্রবালগুলি নিয়মিতভাবে পরিবর্তনশীল অবস্থার সম্মুখীন হয়, তারা ভবিষ্যতের চরম জলবায়ুর জন্য "পূর্ব-অভিযোজিত" হতে পারে। এই ফলাফলগুলি আরও নির্দেশ করে যে, প্রবালের মাইক্রোবায়োম তাপীয় চাপ মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও উচ্চ তাপমাত্রায় প্রবালের মাইক্রোবায়োমগুলি অস্থির হয়ে পড়ে, কিছু প্রবাল তাদের মাইক্রোবায়োমকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়, যা তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এই গবেষণাগুলি প্রবাল সংরক্ষণের জন্য নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক হতে পারে।