২০২১ সালে, কোরোমোর আনজুয়ান দ্বীপের জেলেরা ১০ হেক্টর এলাকা জুড়ে একটি নো-টেক মেরিন জোন (NTZ) প্রতিষ্ঠা করে, যা সামুদ্রিক জীবন এবং প্রবাল প্রাচীরের পুনর্জন্মের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অভয়ারণ্য তৈরি করেছে। এই কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ, যা অলাভজনক সংস্থা দাহারি (Dahari) দ্বারা সমর্থিত, ইতিমধ্যে উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল দিয়েছে। স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছে যে তারা নো-টেক মেরিন জোনের সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং সামুদ্রিক কচ্ছপের সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছে। এই ইতিবাচক প্রভাবগুলি সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কার্যকারিতা তুলে ধরে। কেনিয়াতে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নো-টেক মেরিন সংরক্ষিত এলাকাগুলি ২৪ বছর ধরে মাছের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ৪২% বৃদ্ধি এবং বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এটি দেখায় যে এই ধরনের সংরক্ষিত এলাকাগুলি কেবল বাস্তুতন্ত্রের জন্যই উপকারী নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী মৎস্য উৎপাদনের জন্যও কার্যকর।
এই সাফল্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, দাহারি আরও সুরক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে, যার লক্ষ্য হল ৪২৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে পাঁচটি নতুন নো-টেক মেরিন জোন স্থাপন করা। এই সম্প্রসারণ, কমিউনিটি কো-ডিজাইন এবং অভিযোজিত ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি নতুন সামুদ্রিক কৌশলের সাথে মিলিত হয়ে এই অঞ্চলের সামুদ্রিক সংরক্ষণে একটি শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি নির্দেশ করে। দাহারি, যা ২০০৫ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র প্রকল্প হিসাবে শুরু হয়েছিল এবং ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কোরোমোর বৃহত্তম এনজিও হিসাবে পরিচিত। সংস্থাটি গ্রামীণ সম্প্রদায়কে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য কাজ করে, যা জীবিকা সুরক্ষার সাথে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংযোগ স্থাপন করে। তাদের সামুদ্রিক কর্মসূচির লক্ষ্য হল ২০২৭ সালের মধ্যে আনজুয়ানের ৯৫০ হেক্টর প্রবাল প্রাচীর রক্ষা করা, যা কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন রিজার্ভের মাধ্যমে সম্ভব হবে। এই উদ্যোগগুলি কোরোমোরকে ২০৩০ সালের মধ্যে তার ৩০% সমুদ্র অঞ্চল সংরক্ষণের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। দ্বীপ রাষ্ট্রগুলিতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা একটি জটিল চ্যালেঞ্জ যা সমন্বিত বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয় পদক্ষেপের দাবি রাখে। সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা (MPAs) স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা বাস্তুতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত এবং উন্নতি করার জন্য একটি আশ্রয়স্থল প্রদান করে। এই ধরনের উদ্যোগগুলি কেবল পরিবেশগত স্বাস্থ্যকেই উন্নত করে না, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করে, যা কোরোমোর মতো দেশগুলির জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে।