প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগেকার বারাইট নামক খনিজটি পৃথিবীর সমুদ্রের অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে এক অনন্য অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এর গঠন প্রক্রিয়া পৃথিবীর পরিবর্তিত রসায়ন ও জীববিদ্যার প্রতিফলন ঘটায়। প্রাচীন আর্কিয়ান মহাসাগরে, অক্সিজেনের অভাবের সময়, বারাইট মূলত বেরিয়াম-সমৃদ্ধ হাইড্রোথার্মাল ফ্লুইড এবং সালফেট-যুক্ত জলের মিশ্রণ থেকে গঠিত হত। গভীর পৃথিবী থেকে উদ্ভূত এই প্রাচীন বারাইটের জমাটগুলি প্রাথমিক মহাসাগরের অবস্থা এবং উপাদানের প্রাথমিক চক্রের প্রমাণ সরবরাহ করে। এই সময়ে, হাইড্রোথার্মাল কার্যকলাপের সাথে যুক্ত বারাইট গঠন পৃথিবীর ভূত্বকের পরিবর্তনের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করত।
আধুনিক মহাসাগরে, বারাইট মূলত ডায়াটম এবং ব্যাকটেরিয়াল বায়োফিল্মের মতো অণুজীবের জৈববস্তুর মধ্যে গঠিত হয়। জৈব পদার্থের পচনের ফলে বেরিয়াম নির্গত হয় যা ক্ষুদ্র পরিবেশে অধঃক্ষিপ্ত হয়ে বারাইট তৈরি করে। এটি আধুনিক সামুদ্রিক রসায়নে অণুজীবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, সামুদ্রিক বারাইট গঠন জৈব পদার্থের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং এটি প্রায় ২০০-৬০০ মিটার গভীরতায় ঘটে, যা জৈব কার্বন ক্ষয় ও বারাইট গঠনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক নির্দেশ করে। এছাড়াও, সামুদ্রিক বারাইট জৈব-ভূরাসায়নিক চক্র এবং মহাসাগরের কার্বন চক্রে অণুজীবের কার্যকলাপের প্রভাব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও গভীর করে তোলে।
বারাইট অধঃক্ষেপণ মূলত জৈব পদার্থের পচনের সাথে যুক্ত, যা প্রায়শই অক্সিজেন সর্বনিম্ন অঞ্চলে ঘটে থাকে। সমুদ্রের জলের রসায়ন এবং জৈবিক উৎপাদনের একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে, পাললিক রেকর্ডে বারাইটের রাসায়নিক গঠন পৃথিবীর প্রধান ঘটনাগুলির উপর আলোকপাত করে। এটি সামুদ্রিক জৈব-ভূরাসায়নিক চক্র এবং অণুজীবের কার্যকলাপের মাধ্যমে মহাসাগরের কার্বন চক্রের উপর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করে। বারাইট অধঃক্ষেপণ মূলত জৈব পদার্থের পচনের সাথে যুক্ত, যা প্রায়শই অক্সিজেন সর্বনিম্ন অঞ্চলে ঘটে থাকে। এটি সামুদ্রিক বারাইট জমা হওয়া এবং গভীর সমুদ্রে কার্বন রপ্তানির মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক নির্দেশ করে, যা অতীতের রপ্তানি উৎপাদন পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালে প্রায় ৩.৪৮ বিলিয়ন বছর পুরানো ড্রেসার ফর্মেশনের স্ট্রোমাটোলাইটে বারাইটের মাইক্রো-মিনারাইজেশন অণুজীবের ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়।