একটি যুগান্তকারী গবেষণা, যা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে নেচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত হয়েছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা উন্মোচন করেছে: যে সমস্ত উদ্ভিদ প্রজাতি তাদের স্থানীয় ইউরোপীয় আবাসস্থলের বাইরে সফলভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাদের নিজ অঞ্চলের মধ্যেও ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের বিশ্বব্যাপী প্রসারের জন্য দায়ী।
দশটি ইউরোপীয় দেশের ডেটা বিশ্লেষণ করে এই গবেষণাটি দেখেছে যে নতুন পরিবেশে যে উদ্ভিদগুলি উন্নতি লাভ করছে তাদের মধ্যে লম্বা, অভিযোজনযোগ্য, অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং পুষ্টি-সমৃদ্ধ মাটি পছন্দ করার মতো বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলিই তাদের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রসারের মূল চালিকাশক্তি বলে মনে হচ্ছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, উদ্ভিদ প্রজাতির অভিযোজন ক্ষমতা তাদের স্থানীয় পরিবেশের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তার উপর নির্ভর করে। যেমন, শুষ্ক অঞ্চল বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় সাভানা জলবায়ুর উদ্ভিদগুলি দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কম সক্ষম। (লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়)। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য এবং জলবায়ুর মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণত, লম্বা উদ্ভিদ এবং বড় বীজযুক্ত উদ্ভিদগুলি উষ্ণ, আর্দ্র জলবায়ুতে বেশি দেখা যায়, যেখানে আলোর জন্য প্রতিযোগিতা বেশি। (ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং)।
এই ফলাফলগুলি উদ্ভিদ প্রজাতির বিস্তার এবং আগ্রাসনের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করে, যা পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়ক হবে। মানুষের কার্যকলাপ, যেমন শহরায়ন, অনেক বিদেশী উদ্ভিদ প্রজাতির বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে সমস্ত উদ্ভিদ প্রজাতি মানুষের দ্বারা প্রভাবিত পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে, তাদের নতুন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। (এমডিপিআই)।