পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার অভ্যন্তরীণ অংশে ১৯৯৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাপমাত্রার দ্রুত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে, যা বিশ্বব্যাপী গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির হারকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে গেছে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা, যা নেচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত হয়েছে, এই তথ্য তুলে ধরেছে। এই সময়ের মধ্যে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা প্রতি দশকে ০.৪৫ থেকে ০.৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষণায় তিনটি মনুষ্যবিহীন আবহাওয়া স্টেশন, ডোম ফুজি, রিলে এবং মিজুহো থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে, যা ১৯৯০-এর দশক থেকে চালু রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার উপকূলীয় অঞ্চলের বিপরীতে, যেখানে উল্লেখযোগ্য উষ্ণতা বৃদ্ধি দেখা যায়নি, সেখানে অভ্যন্তরীণ অংশে একটি স্পষ্ট ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
গবেষকরা এই উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের পরিবর্তনের একটি জটিল মিথস্ক্রিয়াকে দায়ী করেছেন। এই প্রক্রিয়াটি, যা বর্তমান জলবায়ু মডেলগুলিতে পুরোপুরি ধরা পড়েনি, তীব্রতর মহাসাগরীয় স্রোতগুলির সাথে জড়িত যা উষ্ণ বায়ুর ভরকে মহাদেশের অভ্যন্তরে টেনে আনে।
পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার অভ্যন্তরীণ অংশে এই দ্রুত উষ্ণতা বৃদ্ধি ভবিষ্যতে বরফ গলার পূর্বাভাসকে আরও আশঙ্কাজনক করে তুলেছে। এই ফলাফলগুলি জলবায়ু মডেলগুলিতে নতুন অন্তর্দৃষ্টি অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। কারণ তাপমাত্রার এই দ্রুত বৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে তাড়াতাড়ি উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রাখে।
এই উষ্ণ বায়ু মহাদেশের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে, যা সমুদ্রের কিনারা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত অঞ্চলগুলিকেও প্রভাবিত করে। এই পরিবর্তনগুলি অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলার হারকে প্রভাবিত করতে পারে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। এই ঘটনাটি জলবায়ু পরিবর্তনের জটিলতা এবং আমাদের গ্রহের উপর এর গভীর প্রভাব সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক।